শীর্ষ সংবাদসব সংবাদসারাদেশ

প্রতারক চক্রের খপ্পরে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

ঢাকা জার্নাল:  যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণা সম্মেলনে পাঠানোর কথা বলে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক অধ্যাপকের কাছ থেকে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বিদেশি একটি প্রতারক চক্র। প্রতারণার অভিযোগে প্রতারক চক্রের এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁর কাছ থেকে জাল ডলার তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। আটক ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ার নাগরিক। তাঁর নাম ডোনাটাস ইমিকা ওনিজুয়া। আজ শুক্রবার দুপুরে সিলেট নগর পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি এক আন্তর্জাতিক গবেষণা সম্মেলনের আমন্ত্রণ পান শাবিপ্রবির জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ ফারুক মিয়া। এক ই-মেইলে জানানো হয়, ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিসেস অ্যান্ড ইনফেকশনস’ শিরোনামের ওই সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্রে হবে। মেইলে কথিত আয়োজকেরা জানায়, সম্মেলনে যাওয়া-আসা ও খাওয়া বিনা মূল্যে পাওয়া যাবে। তবে থাকা বাবদ অর্থ পরিশোধ করতে হবে। এরপর দফায় দফায় ই-মেইলে যোগাযোগ করে তারা। যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ও বাংলাদেশের হিলি স্থলবন্দরের দুটি হিসাব নম্বরে ৫ হাজার ৬০৮ ডলার পরিশোধ করেন ওই অধ্যাপক। তবে একবারে সব অর্থ নেয়নি। সম্মেলনে অংশগ্রহণের বিষয়ে পর্যায়ক্রমে তাঁর কাছ থেকে ৫০০ ডলার, ৩ হাজার ৩০৮ ডলার এবং ১ হাজার ৮০০ ডলার হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্রটি।

২৭ মার্চ অধ্যাপক ফারুককে প্রতারক চক্রের এক সদস্য তাঁর কাগজপত্র বুঝে নেওয়ার জন্য দেখা করতে বলে। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে একজন বিদেশি নাগরিক তাঁকে একটি লাগেজ ধরিয়ে দেন। পরে তিনি দেখেন লাগেজে ডিজিটাল লক রয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানালে তাঁরা লাগেজ স্ক্যান করে দেখেন, এর ভেতরে একটি যন্ত্র আছে। তবে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ লাগেজটি আটক করেননি।

অধ্যাপক ফারুক লাগেজ নিয়ে সিলেটে ফিরে আসেন। এ সময় ওই চক্রের আরেক সদস্য তাঁর সঙ্গে দেখা করেন এবং লাগেজটি দেখতে চান। পুরো ঘটনায় অধ্যাপকের সন্দেহ হলে তিনি পরিচিত পুলিশের এক কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানান। টের পেয়ে পালিয়ে যায় ওই চক্রের সদস্য। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে হবিগঞ্জের মাধবপুর এলাকা থেকে ডোনাটাস ইমিকা ওনিজুয়াকে আটক করে।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন সিলেট নগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার পরিতোষ ঘোষ, উপপুলিশ কমিশনার ফয়সল মাহমুদ, উপপুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টারস), অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) এম এ ওয়াহাব।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.