শহীদ স্মরণে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
ঢাকা জার্নাল: স্বাধীনতার ৪৭তম বার্ষিকীতে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে জাতির বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর দমন অভিযানের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল বাঙালিরা। বরাবরের মতোই রাষ্ট্রীয়ভাবে দিনটিকে পালন করা হচ্ছে জাতীয় দিবস হিসাবে। নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে এবার এবার স্বাধীনতার ৪৭ বছর পূর্তি উদযাপনে এসেছে নতুন অনুসঙ্গ।
সোমবার সূর্যোদয়ের পরপরই সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় রাষ্ট্রীয় সালাম জানায়, বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এ সময় মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, বিচারপতি, তিন বাহিনীর প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সরকারপ্রধান হিসাবে ফুল দেওয়ার পর আওয়ামী লীগ সভানেত্রী হিসাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা।
এরপর বিরোধীদলীয় নেতা, প্রধান বিচারপতি, প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও তিন বাহিনীর প্রধান একাত্তরের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী স্মৃতিসৌধ ত্যাগ করার পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, বিদেশি কূটনীতিক, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শুরু হয়।
স্বাধীনতা দিবসে সূর্য ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই সাধারণ মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের সামনে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়তে থাকে সেই ভিড়।
সাভার থেকে প্রধানমন্ত্রী যান ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর সড়কে। সেখানে তিনি বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
সোমবার ভোরে ঢাকায় ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। সকালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে শিশু-কিশোর সমাবেশে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে স্বাধীনতা দিবসের কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন তিনি।
এবারই প্রথম স্বাধীনতা দিবসের দিন সকাল ৮টায় সারাদেশে ও বিদেশে একযোগে একই সময়ে শুদ্ধসুরে জাতীয় সংগীত গাওয়া হবে।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপগুলো সাজানো হয়েছে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় ছবিতে। সব সরকারি, আধা সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে উত্তোলন করা হয়েছে জাতীয় পতাকা।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৬, ২০১৮।