মায়ের পাশেই শেষ বিশ্রাম আনিসুল হকের
ঢাকা জার্নাল: মা, শাশুড়ি ও ছোট ছেলে মো. শারাফুল হকের কবরের পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হবেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রয়াত মেয়র অনিসুল হক। আগামীকাল শনিবার বাদ আসর তাকে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশেই দাফন করা হবে। বিষয়টি বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা এ এস এম মামুন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে (লন্ডনের স্থানীয় সময় ৪টা ২৩ মিনিট) লন্ডনের ওয়েলিংটন হাসপাতালে আনিসুল হক মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।
ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, শনিবার বেলা ১১টা ২০ মিনিটে মেয়রের মরদেহ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আনা হবে। সেখানে তার ছোট ভাই সেনাপ্রধান আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, আত্মীয়-স্বজন ও ডিএনসিসির কর্মকর্তারা তার মৃতদেহ গ্রহণ করবেন। সেখান থেকে তাকে বনানীর বাসভবনে নেওয়া হবে।
পরে আর্মি স্টেডিয়ামে বাদ আসর জানাজা হবে। সেখানেই বিকাল ৩টা থেকে সর্বসাধারণ মেয়রকে শ্রদ্ধা জানাতে পারবেন। পরে বনানী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। এর আগে শুক্রবার জুমার পর লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক জামে মসজিদে আনিসুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, মেয়র আনিসুল হক স্মরণে শুক্রবার ডিএনসিসির নগরভবনসহ ৫টি অঞ্চলে একযোগে শোক বই খোলা হয়েছে। নগরবাসী তাকে স্মরণ করে এসব বইয়ে শোকবার্তা প্রদান করছেন।
মেয়র আনিসুল হক ছিলেন, একাধারে ব্যবসায়ী, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও রাজনৈতিক নেতা। ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও তৈরি পোশাক ব্যবসায়ী আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হক বর্তমানে মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তারা চার সন্তানের জনক। তার ছোট ছেলে মো. শারাফুল হক ২০০২ সালের ৭ এপ্রিল মারা যান। বাকি তিন সন্তানের মধ্যে ছেলে নাভিদুল হক বর্তমানে মোহাম্মদী গ্রুপের পরিচালক, মেয়ে ওয়ামিক উমায়রা ইন্টারন্যাশনাল লেবার অর্গানাইজেশনে কাজ করছেন। তানিশা হক সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করেছেন।
ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ১, ২০১৭।