‘ফায়ারিং স্কোয়াডে’ ১০ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ
ঢাকা জার্নাল:বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনকে ‘ফায়ারিং স্কেয়াডে’ নিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রায়ে আদালত বলেছেন, হাইকোর্ট বিভাগের অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত গুলি করে প্রত্যেকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হোক।
রবিবার বেলা ১১টার দিকে এ রায় দেন ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মমতাজ বেগম।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আেইনের ৩৪ (ক) ধারায় মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ আছে। এ ধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি এ আইন অনুযায়ী মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হলে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ মোতাবেক আসামিদের ফাঁসি দিয়ে অথবা নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে বা গুলি করে দণ্ড কার্যকর করা হবে।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াশিম আখতার ওরফে তারেক হোসেন, মো. রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম, মো. ইউসুফ ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলান শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বক্কর, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আবদুল হাই এবং মাওলানা আবদুর রউফ ওরফে আবু ওমর।
উল্লেখ্য, ২০০০ সালের ২০ জুলাই কোটালীপাড়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশ স্থলের পাশে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন একটি মামলা দায়ের করেন। ২০০১ সালের ৮ এপ্রিল আট জনকে আসামি করে মামলার চার্জশিট দেওয়া হয়। পরে ২০০৯ সালের ২৯ জুন আরও নয় জনকে আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দেওয়া হয়। এরপর ২০১০ সালে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকা-২ ট্রাইবুনালে পাঠানো হয়। শেখ হাসিনাকে এ পর্যন্ত ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। ঢাকার আদালতেই এ ধরনের পাঁচটি মামলা বিচারাধীন। আজ রায় ঘোষণা হলে, এটাই হবে শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রথম রায়। এমনটাই জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি।
ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ২০, ২০১৭।