কবর থেকে তোলা হলো রুস্তমের মরদেহ, জানে না পুলিশ
ঢাকা জার্নাল : গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারের সামনে খুন হওয়া অবসরকালীন ছুটিতে থাকা সার্জেন্ট ইনসট্রাক্টর রুস্তম আলীর (৬৫) লাশ কবর থেকে তোলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে নিহত রুস্তম আলীর পরিবার পুলিশকে না জানিয়ে কবর থেকে লাশ তুলে তাদের গ্রামের বাড়ি নিয়ে গেছে।
জেলা প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের স্ত্রী নাছরিন আক্তার গত বুধবার (২৭ এপ্রিল) গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কাছে লাশ তোলার আবেদন করেন। তাতে বলেন, তাদের পরিবারের সবার দাবি লাশ গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী কবরস্থান থেকে তুলে তাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুর নিয়ে যাবেন। সেখানে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হবে।
কিন্তু প্রশাসন তাৎক্ষণিক অনুমতি না দিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য সময় চেয়েছিল। নিহতের পরিবার সেই সময় না দিয়ে বৃহস্পতিবার রাত ৮ টার দিকে লাশ তোলে। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাদের গ্রামের বাড়ি পিরোজপুরের মঠবাড়ি উপজেলার চড়কগাছিয়া গ্রামের উদ্দেশ্যে নিয়ে যায়।
কোনাবাড়ী পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোবারক হোসেন জানান, তাদের পরিবারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রুস্তম আলী লাশ তুলে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে গেছে। তবে তোলার সময় পুলিশকে অবহিত করেনি।
গত সোমবার (২৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে কাশিমপুর কারাগারের ১০০ গজ সামনে আহাম্মদ মেডিসিন কর্নারে ওষুধ কিনতে যান অবসরকালীন ছুটিতে থাকা (এলপিআর) রুস্তম আলী। এসময় দুর্বৃত্তরা গুলি করে তাকে হত্যা করে। পরে ওই দিন রাতে নিহতের স্ত্রী নাছরিন আক্তার বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ্য করে অজ্ঞাত আরো ৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
এ ঘটনায় গাজীপুর মহানগরের দেওলিয়াবাড়ি এলাকার মো. হাসান মিয়ার ছেল হিমেল আহাম্মেদ (২২) নামে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রুস্তম আলী গত ৬ মাস আগে অবসরকালীন ছুটিতে (এলপিআর) যান। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুযায়ি, রুস্তম আলীর শরীরে ৬টি গুলি করা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে জেলা পুলিশ এবং কারা কর্তৃপক্ষ দুটি পৃথক তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে তদন্ত কমিটি কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
ঢাকা জার্নাল , এপ্রিল ২৯, ২০১৬