জেএমবি সদস্য মাসুমের মৃত্যুদণ্ড বহাল
ঢাকা জার্নাল: লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে বোমা হামলার ঘটনার দুই মামলায় জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য মাসুমুর রহমান মাসুমের মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে ওই দুই মামলায় জেএমবির অপর সদস্য আমজাদ আলীকে খালাস দিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল করে মামলা পুনর্বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বুধবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে মাসুমের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার বলেন, দুই মামলায় আপিল বিভাগ মাসুমের আপিল খারিজ করে মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন। আপিল বিভাগ ওই দুই মামলায় আমজাদ আলীর ক্ষেত্রে পুনর্বিচারের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ মালের ৩ অক্টোবর লক্ষ্মীপুর জেলা আদালতে বোমা হামলা চালায় জেএমবি সদস্যরা। ওই দিনই জেলা আদালতের নাজির বজলুর রহমান লক্ষ্মীপুর থানায় মামলা করে।
এজাহারে বলা হয়, যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতে বিচার চলাকালে বোমা হামলায় ওই আদালতের বিচারক এম এ সুফিয়ান, বেঞ্চ অফিসার মো. শফিকুল্লাহসহ কয়েকজন বিচারপ্রার্থী গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে পরে মজিবুল হক নামে এক বিচারপ্রার্থী মারা যান।
ওই ঘটনায় হওয়া দুই মামলায় ২০০৬ সালের ১৫ আগস্ট মাসুম, আতাউর রহমান সানী ও আমজাদ আলীকে মৃত্যুদণ্ড দেয় লক্ষ্মীপুরের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল। বিষ্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও হত্যা মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ড হয়। অন্য মামলায় ইতিমধ্যে সানীর ফাঁসি কার্যকর হয়েছে।
নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা হাইকোর্টে আপিল করে ও তাদের মৃত্যুদণ্ড অনুমোদনের (ডেথ রেফারেন্স) জন্য হাই কোর্টে আসে।
আপিল ও ডেথরেফারেন্সর ওপর শুনানি শেষে ২০১৩ সালে হাইকোর্ট রায় দেন। রায়ে মাসুমের মৃত্যুদণ্ড বহাল ও আমজাদ আলীকে খালাস দেওয়া হয়।
হাই কোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই আপিল করে মাসুম। আর আমজাদ আলীর খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ০৬, ২০১৬।