৭২ রাষ্ট্রপ্রধানের অর্থ পাচার ও কর ফাঁকির নথি ফাঁস
ঢাকা জার্নাল: বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারসংক্রান্ত নথি ফাঁস হয়েছে। এই তালিকায় বিশ্বের বর্তমান ও প্রাক্তন ৭২ জন রাষ্ট্রপ্রধানও রয়েছেন।
পানামার আইনি প্রতিষ্ঠান মোসাক ফনসেকার এক কোটি দশ লাখ গোপন নথি কারা ফাঁস করেছে, তা জানা যায়নি। তবে এসব নথি প্রথমে জার্মানির দৈনিক সুদেস্ক জেইটাংয়ের হাতে আসে। পরে এগুলো সাংবাদিকদের সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল কনসোর্টিয়াম অব ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্টের (আইসিআইজে) কাছে পাঠায় পত্রিকাটি।
আইসিআইজের পরিচালক জেরার্ড রাইল বলেছেন, ‘আমি মনে করি অফসোর দুনিয়ার জন্য এই নথিগুলো সবচেয়ে বড় আঘাত বলে প্রমাণিত হতে যাচ্ছে।’
মোসাক ফনসেকা ৪০ বছর ধরে তার যেসব মক্কেলদের অর্থ পাচার, কর ফাঁকি এবং বিভিন্ন রকম নিষেধাজ্ঞা এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে, তার সবগুলোই এসব নথির মধ্যে রয়েছে। নথিগুলো বিশ্লেষণ করে এখনো দেশের সম্পদ পাচার ও কর ফাঁকিতে জড়িত শীর্ষ ধনী ও ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের সবার নাম জানা সম্ভব হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে তালিকায় মিসরের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক, লিবিয়ার মুয়াম্মার গাদ্দাফি ও সিরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের নাম রয়েছে। এ ছাড়া অর্থ পাচারের সঙ্গে রাশিয়ার একটি ব্যাংক ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী জড়িত বলে ওই নথিতে দেখা গেছে। কয়েক শ কোটি ডলার রাশিয়া থেকে পাচারের ক্ষেত্রে ব্যাংক অব রোশিয়া অফসোর কোম্পানির সঙ্গে কীভাবে কাজ করেছে, তা ওই সব নথিতে উঠে এসেছে। এই ব্যাংকটির মালিক পুতিনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু সের্গেই রলদুগিন। এসব নথির একটিতে দেখা গেছে, রলদুগিন ব্যক্তিগতভাবে সন্দেহজনক লেনদেন ও চুক্তির মাধ্যমে কয়েক কোটি ডলার মুনাফা করেছেন।
এদিকে মোসাক ফনসেকার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কোনো প্রতিবন্ধকতা ছাড়াই তারা ৪০ বছর ধরে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল০৪, ২০১৬।