Leadসংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

মূল নকশা আনতে যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন পাঁচজন

LUIঢাকা জার্নাল: মে মাসের প্রথম সপ্তাহে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন লুই আই কানের মূল নকশা আনতে। এরই মধ্যে জাতীয় সংসদসহ আগারগাঁও এলাকার সমস্ত নকশা যাচাই-বাছাই করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের পেন্সিলভেনিয়া ইউনিভার্সিটির আর্কাইভে ৮ হাজার নকশা রয়েছে বলে বাংলাদেশের স্থাপত্য অধিদফতরকে জানানো হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫৩টি নকশা আনার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।  ওই ৮৫৩টি নকশাই সংগ্রহ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) জাতীয় সংসদে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ বিষয়ে যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, গণপূর্ত সচিব, প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির এবং জাতীয় সংসদের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

সভা শেষে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী  জানান, আমাদের কমিশন (পরিকল্পনা কমিশনের) বৈঠকের সিদ্ধান্ত ছিল, নকশাগুলো আনার জন্য। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশেই নকশাগুলো আনার উদ্যেগ নেওয়া হয়। নকশা আনতে যে অর্থের প্রয়োজন তা সরকার দেবে’।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের পেন্সিলভেনিয়া ইউনির্ভাসিটি থেকে সার্চ করতে ৩ হাজার ৫৫০ মার্কিন ডলার ব্যয় করতে হয়েছে। সার্চের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে, সেখানে ৮ হাজার নকশা এবং ডকুমেন্ট আছে। কিন্তু সবগুলো রেলিমেন্ট না। এর মধ্যে ৮৫৩টি নকশা প্রয়োজন বলে তারা স্থাপত্য অধিদফতরকে জানিয়েছে।

স্পিকার বলেন, ‘আমরা ওই ৮৫৩টি নকশা আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে প্রতি নকশার জন্য ১৯ ডলার খরচ হবে। এছাড়া ১১৫টি নকশা আছে, যেগুলো আনবিল্ড (এখনো কোনো ভবন হয়নি)। ওই আনবিল্ড নকশার জন্য ৬০ হাজার ডলারের মতো লাগবে। তবে টাকা যাই লাগুক আমাদের বাজেটে আছে। টাকা নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না’।

‘এজন্য আমাদের পাঁচ সদস্যের একটি টিম যাবে বলে প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। প্রতিনিধি দলে থাকবেন স্থাপত্য অধিদফতর থেকে দু’জন, গণপূর্ত অধিদফতর থেকে একজন, পিডব্লিউডি থেকে একজন এবং সংসদ সচিবালয় থেকে একজনসহ মোট ৫ জন’।

‘যারা যাবেন, তাদের ভিসা প্রসেসিং এর ব্যপার রয়েছে। তাই আশা করছি, আগামী মে মাসের প্রথম সপ্তাহে তারা যাবেন। তবে এ সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওদের সঙ্গেও যোগাযোগ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি’।

লুই আই কানের নকশা প্রণয়নের সঙ্গে জড়িত একজন স্থপতি এখনো বেঁচে রয়েছেন, যার বয়স ৮৭ বছর। প্রতিনিধি দল তার সঙ্গেও দেখা করবেন বলে জানান স্পিকার। এজন্য প্রতিনিধি দলকে ওই স্থপতির সঙ্গে আগে থেকে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে বলা হয়েছে।

‘সেখান থেকে প্রতিনিধি দল নকশাগুলো দেখে অনুমোদন দেওয়ার পর টাকা দেওয়া হবে, তাতেও ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ লেগে যেতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র থেকে জানানো হয়েছে তারা নাকি দু’টি হার্ডকপি দেবে। আমি বলেছি, চেষ্টা করে দেখতে যে, তিন সেট আনা যায় কি-না। যদি তিন সেট আনা যায়, তাহলে এক সেট জাতীয় সংসদে থাকলো, এক সেট ন্যাশনাল আর্কাইভে সংরক্ষিত থাকলো, আর এক সেট গণপূর্ত বা স্থাপত্য অধিদফতরে থাকবে’।

স্পিকার বলেন, যেহেতু চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ ছিল, তাই আমরা চাচ্ছি আগামী বাজেটের আগেই যেন আনা যায়। সেভাবেই চেষ্টা চলছে। না হলে অর্থ ফেরত যাবে, নতুন করে বরাদ্দ নেওয়া আবার ঝামেলা। তাই চাচ্ছি, বাজেট অধিবেশনের আগেই আনতে।

প্রধান স্থপতি কাজী গোলাম নাসির  বলেন, সভায় মন্ত্রী ও স্পিকার আমাদের ইতিবাচক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। আমরা যাবো, মন্ত্রণালয় যার নাম প্রস্তাব করবে, তিনিই যাবেন।

ঢাকা জার্নাল, মার্চ ২৯, ২০১৬।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.