Leadসব সংবাদ

মীর কাসেমের আপিল মামলা, সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি নজরুল

Mir kashamঢাকা জার্নাল: মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মীর কাসেম আলীর আপিল মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন হাইকোর্টের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী।

সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আপিল মামলাটির তৃতীয় দিনের শুনানি শুরু হলে এ ঘোষণা দেন বিচারপতি নজরুল। তিনি দুঃখ প্রকাশ করে সর্বোচ্চ আদালতকে বলেন, ‘আমি দুঃখিত। এ মামলাটি দু’জন সিনিয়র আইনজীবী পরিচালনা করবেন। আমি নিজেকে প্রত্যাহার করে নিলাম’।

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা) ‘ওকে’ বলে বিষয়টির অনুমোদন দিলে পরে আসামিপক্ষে দ্বিতীয় দিনের মতো যুক্তিতর্ক (আর্গুমেন্ট) উপস্থাপন শুরু করেন মীর কাসেমের আইনজীবী এস এম শাহজাহান। আদালতে উপস্থিত আছেন আসামিপক্ষের প্রধান আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন।

রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগের এক নম্বর বেঞ্চে এ শুনানি চলছে। বেঞ্চের অন্য বিচারপতিরা হলেন- বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার ও বিচারপতি মোহাম্মদ বজলুর রহমান।

গত ১০ ফেব্রুয়ারি বিচারপতি নজরুল মীর কাসেমের পক্ষে শুনানিতে অংশ নিলে সরকারি সুযোগ-সুবিধা থাকা অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নিয়ম-নীতি (কোড অব কন্ডাক্ট)  মেনে চলার পরামর্শ দেন প্রধান বিচারপতি।

রাষ্ট্রপক্ষ থেকে সেদিন বলা হয়, তিনি (বিচারপতি নজরুল) এখনো জাজেস লাউঞ্জ ব্যবহার করেন। ওখানে আইনজীবীদের নিয়ে কথা (মামলার বিষয়ে) বলেন।

এরপর প্রধান বিচারপতি বলেন, অবসরপ্রাপ্ত সব বিচারপতিদের কাছে আশা করবো, সরকারি সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করা অবস্থায় আপনারা নিয়ম-নীতি (কোড অব কন্ডাক্ট) মেনে চলবেন। হাইকোর্ট বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিরা আপিলে ওকালতি করার সুযোগ পান। এটা আগে থেকে চলে আসছে।

পরে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, তিনি (বিচারপতি নজরুল) যেটা করছেন, সেটা অনৈতিক।

গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরী অবসরে যান।

১৯৭৭ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৯২ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন তিনি। ২০০১ সালের ০৩ জুলাই তিনি হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতি নিযুক্ত হন এবং ২০০৩ সালের ০৩ জুলাই হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারপতি নিযুক্ত হন।

গত ০৯ ফেব্রুয়ারি থেকে চলছে মীর কাসেমের আপিল মামলাটির শুনানি। ওইদিন এবং পরদিন ১০ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনালের রায় এবং সাক্ষীদের অভিযোগভিত্তিক সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন শেষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শুরু করেন এস এম শাহজাহান।

ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.