প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা
ঢাকা জার্নাল : শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ পাবলিক পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ানো রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। সোমবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আসন্ন এসএসসি, দাখিল ও সমমান পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে পালনের লক্ষ্যে আয়োজিত জাতীয় মনিটরিং কমিটি সভায় তিনি এ নির্দেশ দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী মহল সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতে পাবলিক পরীক্ষার সময় প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়ায়। এ ধরনের দুষ্টচক্র নিজেদের বানানো প্রশ্নপত্র ফেসবুকের মাধ্যমে ছড়িয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করে এবং তাদের মনোবল নষ্ট করে দিয়ে পরীক্ষা প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটায়। এ অশুভচক্রের পরিচালিত পরীক্ষার পরিবেশ ব্যাঘাতকারী প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী একই সঙ্গে কোচিং সেন্টারসহ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের চেষ্টা চালাতে পারে এমন চক্রকে কঠোর নজরদারিতে রাখার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের নির্দেশ দেন।
সভায় শিক্ষা সচিবের দায়িত্ব পালনরত অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও যুগ্মসচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ফাহিমা খাতুন, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতিনিধি অংশ নেন।
সভায় জানানো হয়, বিভিন্ন শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে যাওয়া এসএসসি, দাখিল ও সমমানের পরীক্ষায় ৩ হাজার ২০৩টি কেন্দ্রে ১৬ লাখ ৬৯ হাজার ৩১৭ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।
উল্লেখ্য, প্রত্যেকটি বিষয়ে পরীক্ষায় পরীক্ষার দিন প্রথমে বহুনির্বাচনি এবং পরে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার মাঝে ১০ মিনিট সময়ের ব্যবধান থাকবে। এর আগে সৃজনশীল পরীক্ষার পর বহুনির্বাচনি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতো।
ঢাকা জার্নাল, জানুয়ারি ২৫, ২০১৬।