সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

‘রাজনীতিমুক্ত না হলে ব্যাংকে সংস্কারে সুফল মিলবে না’

শনিবার রাজধানীতে দেশের ব্যাংকিং খাতের সংস্কার ও সুশাসন নিয়ে এক আলোচনায় সালেহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সুশাসন ও জবাবদিহিতা আরও বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে রাজনৈতিক দৃঢ়তা দরকার। রাজনীতিবিদদের মনে রাখতে হবে, ব্যাংকের মতো একটি প্রযুক্তিনির্ভর খাতকে সবসময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত রাখা উচিত।”

‘দলীয় বিবেচনায় ব্যাংকে নিয়োগ দেওয়া’ সমর্থন করে সালেহউদ্দিন বলেন, “কিন্তু তাকে বলে দিতে হবে, খবরদার তুমি তোমার রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে ব্যাংকিং সেক্টরে কথা-বার্তা বলবে না।

“ব্যাংকিং খাতের পরিবর্তন যদি রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত না হয়, তাহলে সেখান থেকে সুফল আসবে না।”

২০০৫ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্ব দিয়ে আসা এই অর্থনীতিবিদ নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বলেন, “গভর্নরকে শুধু যে রাজনৈতিক চাপে থাকতে হয় তাই নয়, লবিস্টরাও অনেক চাপে রাখেন।

“বাংলাদেশ ব্যাংককে একটি শক্ত অবস্থান নিতে হবে। চাপমুক্ত হয়ে কাজ না করতে পারলে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের সমস্যাগুলো সমাধান করা যাবে না।”

আলোচনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চলমান ‘আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির’ কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সাবেক এই গভর্নর।

“বাংলাদেশে অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিং কি আসলে হচ্ছে? এসএমই খাতে কি টাকা যাচ্ছে? আমার এক বন্ধু সেদিন আমাকে বললো, ১০ লাখ টাকার জ্ন্য সে ছয় মাস ধরে ঘুরছে।”

এক গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, “এসএমইর টাকা যাচ্ছে বড় বড় ব্যবসায়ীর কাছে, গরিবরা পাচ্ছে না।”

এ প্রসঙ্গে দেশে উদ্যোক্তা তৈরিতে ব্যাংকগুলোর ভূমিকার কথা স্মরণ করিয়ে দেন তিনি।

সকালে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘ব্যাংকিং সেক্টর অব বাংলাদেশ: রিফর্ম অ্যান্ড গভর্নেন্স’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে অলাভজনক পরামর্শক ও গবেষণা সংস্থা ঢাকা ফোরাম।

এতে অন্যদের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা মির্জ্জা এবি আজিজুল ইসলাম ও বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইন্সটিটিউটের (বিইআই) প্রেসিডেন্ট ফারুক সোবহান উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.