পদ্মাসেতু নির্মাণে জনগণের সাহসই আমার শক্তি : প্রধানমন্ত্রী
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ নির্মাণ কাজে সবার সহযোগিতা কাম্য। বাংলাদেশের সাধারণ জনগণের সাহসই আমার শক্তি। তাদের সাহাস্য সহযোগিতা আমাকে শক্তি যোগাচ্ছে। জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থ দিতে চেয়েছে। জনগণের অর্থেই এখন পদ্মা সেতু নির্মাণ হচ্ছে। এতে এপার-ওপার দুই পারের বাসিন্দারাই সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। পদ্মা সেতু নির্মিত হলে কেবল আমাদের দেশের নয়, আঞ্চলিক উন্নয়নও হবে। আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নদীশাসন কাজের উদ্বোধন শেষে শরীয়তপুরের জাজিরায় আয়োজিত সুধী সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে জড়িতদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা ভিটে-মাটি দিয়েছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা।
এই সেতু নির্মিত হলে বাংলাদেশ আরও গতিশীল হবে। তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলকে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যরা সবাই অবহেলার চোখে দেখেছে। আমরা দক্ষিণাঞ্চলে নতুন পোর্ট করেছি, যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন হয়েছে। রেলওয়ে যোগাযোগও উন্নত হবে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। আমার বাবা জাতির পিতা এ দেশের মানুষের জন্য অনেক কষ্ট করে গেছেন। তিনি দেশের মানুষের জন্য কারাভোগ করেছেন। অনেক কষ্ট করে আমরা এ পর্যায়ে এসে দাঁড়িয়েছি। এ দেশের মানুষদের নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। এ সেতু নির্মাণের ফলে ব্যাপক বিনিয়োগ বাড়বে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তিনি বলেন, এ সেতু নির্মাণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ এশিয়ান হাইওয়েতেও যুক্ত হবে। আঞ্চলিক যোগাযোগব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। বাংলাদেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধ হবে। দেশের দক্ষিণাঞ্চলে অপার সম্ভাবনা রয়েছে। পদ্মা সেতুর ফলে সেই সম্ভাবনা কাজে লাগবে। প্রধানমন্ত্রী দৃঢ়তার সঙ্গে বলেন বাংলাদেশের রিজার্ভ এখন ২৭ বিলিয়ন ডলার, সেখান থেকে দুই চার বিলিয়ন পদ্মা সেতুর জন্য খরচ করা সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ একদিন পুরোপুরি স্বাবলম্বী হবে আশাবাদ ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারও কাছে হাত পেতে নয়। আমরা স্বাবলম্বী হয়ে চলবো। আমরা উৎপাদন করছি। এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদী না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, প্রথম দফা ক্ষমতায় এসে আমি পদ্মা সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করি কিন্তু ২০০১ সালে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে সেতু নির্মাণের কাজকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করে। আমি আবার ২০০৮ সালের ক্ষমতায় এসে সরকার গঠনের পর আবার সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নিই। আজ সেই পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করেছি আমরা।