পৌরসভা নির্বাচনে নিবন্ধিত ২৮ দলের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত
প্রথমবার দলীয় প্রতীকে পৌরসভা নির্বাচনে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আর দলীয় প্রতীকে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে গিয়ে শুরুতেই হোচট খেল নির্বাচন কমিশন।
নিবন্ধিত ৪০টি দলের মধ্যে মনোনয়ন দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্তদের নমুনা চিঠি নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে মাত্র ১২টি দল। বাদ গেল ২৮টি দল।
এদিকে পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণের তারিখ পেছানোর দাবি জানিয়েছিল বিএনপি আজ পৌরসভা নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ১০ দিন বাড়ানো এবং প্রচারণায় এমপিদের সুযোগ দিতে ইসির কাছে দাবি জানিয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি। এর আগে রাশেদ খান মেনন নির্বাচন পেচানোর দাবি জানিয়ে ছিল।
শনিবার মনোনয়ন দেওয়া ক্ষমতাপ্রাপ্তদের নামের তালিকা দেওয়ার শেষ তারিখ থাকলেও বাকি ২৮টি দলের পক্ষ থেকে ক্ষমতাপ্রাপ্তদের নামের তালিকা ইসিতে জমা দেননি।
কমিশন সূত্র বলছে, যেহেতু নির্ধারিত দিনে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার ক্ষমতাপ্রাপ্তদের নামের তালিকা পাঠানো হয়নি, তাই ওইসব দলের নির্বাচনে অংশ নেয়ার বিষয়টিও স্পষ্ট নয়। তবে আর নাম জমা দেওয়া যাবে কিনা বা দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম জমা না দিলেও প্রার্থী দেওয়া যাবে কিনা এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট কিছু বলা হয়নি।
যেসব দল নাম জমা দেয়নি তারা বলছে, নির্বাচন কমিশন থেকে বিষয়টি সময়মতো তাদের জানানো হয়নি। এ কারণে তারা নাম জমা দিতে পারেনি।
স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার বিধি এবারই নতুন হওয়ায় এ বিধি সম্পর্কে দলগুলোরও স্পষ্ট ধারণা নেই। তারা বলছে, এ বিধি করার আগে নির্বাচন কমিশন কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও আলোচনা করেনি।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, এমনিতেই সময় কম দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আবার শুক্র ও শনিবার পড়েছে। তাই অনেক দল সঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারেনি।
নাম জমা দেওয়া দলগুলো হলো, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জাতীয় পার্টি (জাপা), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), জাতীয় পার্টি (জেপি), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, এনপিপি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, পিডিপি ও বিএনএফ।
প্রসঙ্গত, যে ২৮টি দল নমুনা স্বাক্ষর জমা দেয়নি, সেগুলো হলো- কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, এলডিপি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), গণতন্ত্রী পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, গণফোরাম, জাকের পার্টি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, গণফ্রন্ট, প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, জাতীয় গণতান্ত্রিক পাটি (জাগপা), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল, বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট)।
অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করে রায় দিয়েছে হাইকোর্ট। ফলে দলটি নির্বাচনে নিজস্ব প্রতীকে অংশ নিতে পারছে না। জামায়াত এর বিরুদ্ধে আপিল করেছে। কিন্তু এখনো এর সুরাহা হয়নি। তবে জামায়াত নির্বাচনে বেশ শক্তভাবেই অংশ নিবে বলে জানা গেছে। সেটা বিএনপির প্রতীকে নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তা