‘দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা’
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা বলেছেন, একটি বিশেষ মহল দেশকে অস্থিতিশীল করতে পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা করছে। এই অপশক্তিকে রুখে দিতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী সব গণতান্ত্রিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন তাঁরা। আজ শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন থেকে সংগঠনের নেতারা এই আহ্বান জানান।
ঐক্য পরিষদের ফরিদপুর জেলা সাধারণ সম্পাদক অলক সেনের ওপর হামলার প্রতিবাদে এই মানববন্ধন পালন করা হয়। মানববন্ধন ও সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঐক্যপরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নিম চন্দ্র ভৌমিক। তিনি বলেন, অলক সেনের ওপর হামলা, ঈশ্বরদীতে খ্রিষ্টান ফাদারদের ওপর হামলা, ঢাকায় তাজিয়া মিছিলে হামলা এবং সর্বশেষ বগুড়ায় শিয়া মসজিদের হামলার ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা।
এগুলো কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বাংলাদেশকে যারা একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়, তারাই এসব হামলা চালাচ্ছে। এ সময় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত অলক সেনের ওপর হামলাকারীসহ যারা দেশে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করা হয়। এ প্রসঙ্গে নিম চন্দ্র ভৌমিক বলেন, সাম্প্রদায়িক জঙ্গিরা দেশকে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান পরিণত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই। ঐক্য পরিষদের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সুব্রত চৌধুরী বলেন, সংখ্যালঘুদের পরিবার, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে হামলা চালানো হচ্ছে। অতীতে যারা এসব হামলা করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়ার দাবি করেন তিনি। এ ছাড়াও কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দল ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে জঙ্গিদের ঠেকাতে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তাঁরা বলেন, আগামী ৪ ডিসেম্বর ঢাকায় ঐক্য পরিষদ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও সব ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের মহাসমাবেশ হবে। এই মহাসমাবেশ থেকে জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তোলার ডাক দেওয়া হবে। উক্ত কর্মসূচিতে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন মনীন্দ্র কুমার নাথ, তাপস সরকার, জয়ন্ত কুমার দেব, দীপঙ্কর ঘোষ প্রমুখ।