পুরস্কার ফেরত দেওয়াই বৈধ প্রতিবাদ
ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে নয়া বিতর্ক তৈরির পাশাপাশিশাসকদলের সঙ্গে তার দূরত্ব বৃদ্ধির ইঙ্গিত স্পষ্ট হলো। এটা সম্মান প্রত্যাখ্যান প্রতিবাদের এক বৈধ এবং স্বতঃস্ফূর্তবহিঃপ্রকাশ।
সাম্প্রতি দেশজোড়া অসহিষ্ণুতার প্রতিবাদে সরকারি সম্মান ও পুরস্কার প্রত্যার্পণ ও প্রত্যাখ্যান করেছেন বেশকয়েকজন সাহিত্যিক-শিল্পী-চলচ্চিত্র নির্মাতাসহ বিশিষ্টরা।
গত বুধবার প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে প্রেসিডেন্টের হাতে এই মর্মে স্মারকলিপি তুলে দেন প্রতিবাদীদের তরফে তিন সদস্যের এক প্রতিনিধিদল।
সাহিত্যিক অশোক বাজপেয়ী, শিল্পী ভিভান সুন্দরম এবং ‘জনসত্তা’ পত্রিকার সম্পাদক ওম থানভি। অতিথিদের থেকে স্মারকলিপি গ্রহণের সময় প্রেসিডেন্টকে থানভি মনে করিয়ে দেন, সম্মান প্রত্যার্পণ সম্পূর্ণ বৈধ প্রক্রিয়া। জবাবে প্রেসিডেন্ট জানান, ‘একদম ঠিক এবং আমি জানি তা স্বতঃস্ফূর্তও বটে।’
বলাবাহুল্য, দেশজোড়া অসহিষ্ণুতার আবহে প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।অসহিষ্ণুতা এবং তার মোকাবিলায় সরকারি ঔদাসীন্যের প্রতিবাদে প্রাপ্ত সরকারি সম্মান ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বিশিষ্টরা।
সেই সময় প্রেসিডেন্ট তাদের প্রতিবাদের পক্ষে সমর্থন জানান। জবাবে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি পাল্টা বলেন, সম্মান প্রত্যার্পণ আসলে এক পরিকল্পিত রাজনৈতিক পদক্ষেপ যার সুবাদে বিজেপিকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে।