মালিতে ১০ দিনের জরুরি অবস্থা
মালির রাজধানী বামাকোর পাঁচ তারকা হোটেলে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে কমপক্ষে তিনজনকে খুঁজছে নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ। ওই ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের স্মরণে গতকাল শনিবার থেকে তিন দিনের জাতীয় শোক পালিত হচ্ছে। এ ছাড়া সরকার গত শুক্রবার রাত থেকে ১০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। খবর এএফপির।
বামাকোর হোটেলটিতে জঙ্গিরা শুক্রবার নয় ঘণ্টা ধরে বেশ কিছুসংখ্যক মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিল। প্রথমে তারা জিম্মি করে ১৭০ জনকে। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর বিশেষ অভিযানের মধ্য দিয়ে ওই জিম্মি নাটকের অবসান ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলে ২১ জন নিহত হন। তাঁদের মধ্যে রাশিয়ার কয়েকজন, চীনের তিনজন, যুক্তরাষ্ট্রের একজন এবং বেলজিয়ামের একজন নাগরিক রয়েছেন। হামলাকারীদের মধ্যে অন্তত তিনজন আত্মঘাতী হয়।
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বুবাকার কেতা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে বলেছেন, সন্ত্রাসের জয় হবে না।
নিরাপত্তা বাহিনী জানায়, আল-কায়েদার স্থানীয় শাখা সংগঠন আল মুরাবিতুন ওই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা মালিতে এ হামলার নিন্দা জানিয়ে সহিংসতার বিরুদ্ধে জোরালো অবস্থান নেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করেছেন। জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
আল-কায়েদার সমমনা জঙ্গি ইসলামপন্থীরা ২০১২ সাল থেকে মালির উত্তর অংশ নিয়ন্ত্রণ করছে। সেই থেকে দেশটিতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি বিরাজ করছে।