বিনোদনসব সংবাদ

ঢালিউডের খলনায়কদের কার কত পারিশ্রমিক!

07খল অভিনেতা ছাড়া একটা চলচ্চিত্র যেন চলচ্চিত্রই নয়। কারণ একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হয় বাস্তব জীবনের গল্প নিয়ে। সেখানে দেখানো হয় ভাল-মন্দ সব মানুষের কাহিনী।

নায়কের সাথে খলনায়ক না থাকলে যেন একটি চলচ্চিত্রের পূর্ণতা আসে না। ইতিপূর্বে গোলাম মোস্তফা, খলিল, রাজিব, নাসির খান, হুমায়ুন ফরিদীদের মতো বড় বড় অভিনেতাদেরকেই দেখা গেছে।

এখনো অনেকেই এই চরিত্র ফুটিয়ে তুলছেন নিজেদের সাবলীল অভিনয় দিয়ে। বিনিময়ে পারিশ্রমিকও হাকাচ্ছেন নিজের জনপ্রিয়তা অনুযায়ী। এক অনুসন্ধান করে, এখনকার খল অভিনেতারা ছবি প্রতি কে কতো পারিশ্রমিক নেন, সেটা জানার চেষ্টা করেছে। চলুন দেখা যাক কে কতো পারিশ্রমিক নেন…

মিশা সওদাগর: মিশা সওদাগর বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় একজন মুখ। শুরুতে তিনি নতুন মুখের সন্ধানের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে পা রাখেন। ইচ্ছা ছিল নায়ক হিসেবে কাজ করার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে পর্দায় দাপিয়ে বেড়াতে দেখা যাচ্ছে খল চরিত্রে। তিনি দুই বছর আগেও ছবি প্রতি পারিশ্রমিক নিতেন ৩ লক্ষ টাকা। এখন সেটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ লক্ষে।

ওমর সানী: চলচ্চিত্রের আরেক জনপ্রিয় মুখ ওমর সানী। যিনি নব্বই দশক থেকে অভিনয় করছেন চলচ্চিত্রে। বলা যায় নব্বই দশকে তিনি একপ্রকার রাজত্বই করেছেন রূপালী পর্দায়। শুধু ইতিবাচক চরিত্রই নয়, সম্প্রতি বেশ কিছু ছবিতে তাকে দেখা গেছে নেতিবাচক চরিত্রেও। তার সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত নেতিবাচক চরিত্রের ছবি ‘আজব প্রেম’। এতে তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা।

রুবেল: অন্যান্য নায়কদের মতো রুবেলকেও দেখা যাচ্ছে নেতিবাচক চরিত্রে। নেতিবাচক চরিত্রে তার অভিনীত শেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘পাগলা দিওয়ানা’। ছবিটিতে তিনি পারিশ্রমিক নিয়েছেন ২ লক্ষ টাকা।

অমিত হাসান: অমিত হাসানকে ইতিবাচক চরিত্রে দেখা গেছে অসংখ্য ছবিতে। তিনি এখন নিয়মিত অভিনয় করছেন নেতিবাচক চরিত্রে। ছবি প্রতি তিনি পারিশ্রমিক নিচ্ছেন প্রায় ৩ লক্ষ টাকা করে।

ডন: আগাগোড়াই ডন অভিনয় করছেন নেতিবাচক চরিত্রে। এখন তিনি ছবি প্রতি ১ লক্ষ টাকা পারিশ্রমিক নিলেও কিছুদিন আগে লক্ষের নিচে ছিল তার পারিশ্রমিক।

ড্যানিসিডাক: ড্যানিসিডাক নায়ক হিসেবে প্রতি ছবিতে নিতেন যে পরিমাণ পারিশ্রমিক। এখন ভিলেন চরিত্রেও সেটাই নিচ্ছেন ড্যানি। ছবি প্রতি ২ লক্ষের ঘরে রয়েছে তার পারিশ্রমিক।

টাইগার রবি: টাইগার রবির চলচ্চিত্র ক্যারিয়ার খুব বেশি দিন না হলেও পারিশ্রমিক নিচ্ছেন পুরোনোদের চেয়ে তুলনামূলক ভাবে কিছুটা বেশি বা তাদের মতোই। ছবি প্রতি তাকে পারিশ্রমিক দিতে হয় এক থেকে দেড় লক্ষের মতো।

শিবা সানু: শিবা সানু দেশের খল অভিনেতাদের মধ্যে অন্যতম। তিনি এখন ছবি প্রতি পারিশ্রমিক নেন প্রায় এক লক্ষ টাকা।

ডি জে সোহেল: অনেকদিন ধরেই সমাজের মন্দ মানুষের চরিত্রে রূপালী পর্দায় দেখা যায় ডি জে সোহেলকে। তিনি ছবি প্রতি পারিশ্রমিক নেন এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা। যেটা গত দুই বছর আগেও ছিল লক্ষের নিচে।

শিমুল খান: নতুনদের মধ্যে শিমুল খান এরইমধ্যে চলচ্চিত্র ব্যস্ত খল অভিনেতাদের তালিকায় যুক্ত হয়েছেন। তিনি এখন পারিশ্রমিক নেন প্রায় এক লক্ষ টাকা।

মিজু আহমেদ: পুরোনো খল অভিনেতাদের মধ্যে মিজু আহমেদ অন্যতম একজন। তিনি এখন ছবি প্রতি পারিশ্রমিক নেন ২ লক্ষ টাকা। কিছুদিন আগেও যেটা ছিল নতুনদের পারিশ্রমিকের মতো।

সাদেক বাচ্চু: সাদেক বাচ্চু চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় খল অভিনেতাদের তালিকায় একজন। তাকে আগের মতো এখন আর নিয়মিত রূপালী পর্দায় দেখা যায় না। মাঝে মাঝে যেসব ছবিতে তিনি অভিনয় করেন সেগুলোতে তার পারিশ্রমিক থাকে এক থেকে দেড় লক্ষের ঘরে।

আহমেদ শরীফ: পুরোনো খল অভিনেতাদের মধ্যে আহমেদ শরীফের নামটাও রয়েছে। তিনি ছবি প্রতি প্রায় দুই লক্ষ টাকা নেন এখন। যেটা গত দুই বছর আগেও একের ঘরেই ছিল।

– See more at: https://www.bd24live.com/bangla/article/68157/index.html#sthash.h9rigRMC.dpuf

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.