নীলক্ষেতে কর্মজীবী নারীদের সড়ক অবরোধ
ভাড়া বাড়ানোর প্রতিবাদে রাজধানীর নীলক্ষেতে সড়ক আটকে বিক্ষোভ করছেন কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের বাসিন্দারা।
তাদের অবরোধে ওই সড়ক দিয়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
হোস্টেল কর্তৃপক্ষ গত ২৯ অক্টোবর একটি নোটিশে সিট ভাড়া বাড়ানোর কথা জানায় বলে ইসমত আরা নামে বিক্ষোভকারীদের একজন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের সব ধরনের সিটের ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে।”
চার সিটের কক্ষের প্রতিটি সিটের ভাড়া ৭০০ টাকার জায়গায় ১১০০, তিন সিটের কক্ষের প্রতিটির ভাড়া ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ১৫০০, দুই সিটের কক্ষের প্রতিটির ভাড়া ১১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা এবং এক সিটের কক্ষের ভাড়া ১৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে তিন হাজার টাকা করা হয়েছে।
হঠাৎ করে ভাড়া প্রায় দ্বিগুণ করার প্রতিবাদ জানিয়ে কয়েকদিন ধরে হোস্টেলের মধ্যে বিক্ষোভ করেন বলে সোনিয়া ফাতেমা নামে আরেক আন্দোলনকারী জানান।
আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শামীমা আক্তার জাহান পপি বলেন, “১ নভেম্বর থেকে বর্ধিত ভাড়া কার্যকর হওয়ার কথা। হোস্টেল সুপারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বিষয়টি নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করতে বলেন। তার কথা অনুসারে আমরা পরদিন মহাপরিচালক বরাবর আবেদন জমা দিই।
“এরপর বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সঙ্গে দেখা করি। প্রতিমন্ত্রী ১০ নভেম্বরের মধ্যে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়া হবে বলে জানান। কিন্তু ১০ নভেম্বর চলে গেলেও বিষয়টি নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না দেয়ায় আমরা মাঠে নেমেছি।”
রাত সোয়া ১২টার দিকে হোস্টেল সুপার সাদেকুন নাহার বলেন, “আমরা অপেক্ষা করছি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শাহিন আহমেদ চৌধুরী এখানে আসবেন।
“আমি তাদের (আন্দোলনরতদের) জানিয়েছি মহাপরিচালকের স্বামী অসুস্থ, তবে তিনি চেষ্টা করছেন এখানে আসার এবং আমি তাদের হোস্টেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।”
তবে প্রতিমন্ত্রীর কাছ থেকে বর্ধিত ভাড়া প্রত্যাহারের ঘোষণার দাবিতে রাত দেড়টার সময়ও সেখানে বিক্ষোভ করছিলেন কর্মজীবী মহিলা হোস্টেলের নারীরা।