নতুন নিয়মে পৌর নির্বাচনে ‘লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নষ্ট করবে
নির্বাচন কমিশন প্রথম বারের মত দল ভিত্তিক পৌরসভা নির্বাচন করায় ক্ষমতাসীনরাই ভোটে প্রভাব খাটাবে বলে মত দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা। এছাড়া নির্বাচনি আইনে সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের প্রচারণায় যেতে নিষেধাজ্ঞার বিধান না করায় নির্বাচনের কমিশনের ‘সদিচ্ছা’ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সংশ্লিষ্টরা।
সাবেক নির্বাচন কমিশনার এটিএম শামসুল হুদা জানান,ভোট দেওয়া ছাড়া মন্ত্রী বা সমমর্যারদার ব্যক্তি, মেয়র, সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী এলাকায় সফর বা প্রচারণায় না যাওয়ার বিধান থাকা বাঞ্চনীয়। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দিয়ে ‘লেবেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নষ্ট করবে। তাই মন্ত্রী-এমপি-মেয়রকে স্থানীয় নির্বাচনের প্রচারণা থেকে বিরত রাখাই বাঞ্চনীয়।
নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দলভিত্তিক নির্বাচনের ফলে প্রার্খীরা ক্ষমতাসীন দলের সমর্থন নেওয়ার জন্য প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হবে । তাছাড়া এই নতুন আইনের ফলে সাধারণ যোগ্য ব্যাক্তিরা অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকবে সে দলের এমপি – মন্ত্রীরা নির্বাচনকে নিয়ে ব্যণিজ্য করার সুযোগ পাবে।
দলভিত্তিক পেীরসভা নির্বাচন নিয়ে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মাহবুবুর রহমান বলেন, এই আইনে ফলে ভোটে প্রভাব ফেলতে সরকারের আর কিছু বাকি রইল না।
তিনি বলেন, “প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন করতে যেয়ে এখন ইসি কিছু যুক্তি দাঁড় করাবে। কিন্তু কোনোভাবেই মন্ত্রী-এমপি’দের প্রচারণায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া উচিত নয় পৌরসভায়। এ বিধি কার্যযকর হলে নির্বাচন প্রভাবিত করার আর কিছু বাকি থাকবেনা ।”
বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নিবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল এ নির্বাচনেও অংশ নিবে বলে আমি মনে করি ।তবে নির্বচন কমিশনের উপর নির্ভর করর্ছে সাধারন মানুয়ের অধিকার।
প্রসঙ্গত,স্থানীয় নির্বাচনে আগে সরকারি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ওপর প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা ছিল। এখন তা তুলে দিলে নির্বাচনে নিরপেক্ষতা ক্ষুন্ন হবে। আর আচরণ বিধিতে সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার, মন্ত্রী, চিফ হুইপ, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা তাদের সমমর্যাদার কোন ব্যক্তি, সংসদ সদস্য এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রকে বোঝানো হয়েছে।