বাংলাদেশে সামরিক খাতে ব্যয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন টিআইয়ের
বাংলাদেশের সামরিক খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা ‘উচ্চ ঝুঁকির’ সম্মুখীন বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)।
বুধবার লন্ডন থেকে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বার্লিনভিত্তিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি এই ঝুঁকির কথা তুলে ধরে জানিয়ে বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেম।
টিআইবির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ১৭টি দেশের প্রতিরক্ষা খাতের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার ঝুঁকি নিয়ে প্রণীত এক আঞ্চলিক গবেষণায় বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা খাত ‘উচ্চ ঝুঁকি’ সম্পন্ন বলে উল্লেখ করেছে টিআই।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ও নিরাপত্তা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সংসদীয় জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা করা এখন সময়ের দাবি। বিশেষত জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির অনুপস্থিতি সত্ত্বেও ক্রমবর্ধমান হারে প্রতিরক্ষা ক্রয়ের ক্ষেত্রে তথ্যের অপ্রতুলতা এবং গোপনীয়তার সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক জবাবদিহিতার জন্য মঙ্গলজনক নয়।”
তবে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত বার্ষিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণকে স্বাগত জানান তিনি।
টিআইর প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৪ সালে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১৭টি দেশের প্রতিরক্ষা ব্যয়ের সম্মিলিত পরিমাণ প্রায় ৪৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা প্রতিরক্ষা খাতে বৈশ্বিক ব্যয়ের প্রায় এক চতুর্থাংশ।
এই অঞ্চলের ১৭টি দেশের মধ্যে ছয়টি দেশের প্রতিরক্ষা খাতে দুর্নীতির ঝুঁকি বেশি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। এই দেশগুলো হল চীন, থাইল্যান্ড, পাকিস্তান, শ্রীলংকা, ক্যাম্বোডিয়া ও মিয়ানমার।
“এশিয়ার কয়েকটি দেশের নিয়ন্ত্রণহীন সামরিক ব্যয় বৃদ্ধি এবং দুর্বল ক্রয় ব্যবস্থার কারণে সামরিক ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য পরিমাণ অর্থের অপচয় হওয়ায় গবেষণার আওতাধীন দেশেগুলোর ৬৫ শতাংশ জনগণের সামরিক বাহিনীর প্রতি আস্থা অনেক কম,” বলেছে টিআই।