সংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

বৌদ্ধ স্থাপনাগুলো বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে বাংলাদেশ

11দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলোর মতো করে বাংলাদেশের বৌদ্ধ স্থাপনাগুলোকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে চায় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলছেন, বাংলাদেশের অনেক স্থানেই বৌদ্ধ স্থাপনা রয়েছে, যেগুলো ভক্তরা ছাড়াও অনেক পর্যটককে আকর্ষণ করে। লুম্বিনি বা বুদ্ধগয়ার মতো বাংলাদেশেও অনেক স্থাপনা রয়েছে।

তাঁরা এখন এসব স্থাপনাগুলো তাদের জন্য আকর্ষণীয়ভাবে গড়ে তুলতে চাইছেন।

মি. মেনন বলেন, সোমবিহার, বসুবিহার, শালবন ময়নামতি, বাংলাদেশে এ ধরণের পাঁচশর বেশি স্থাপনা বেশি রয়েছে। সবার কাছে এগুলোকে তুলে ধরে বাংলাদেশকে বৌদ্ধ আকর্ষণ কেন্দ্রের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করতে চাইছি। ফলে এভাবে বাংলাদেশ বৌদ্ধ ভক্ত আর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্র হয়ে উঠবে।

বৌদ্ধ ধর্মের নানা ঐতিহ্য ও পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শনকে পর্যটনে আরো ভালভাবে সংযুক্ত করার বিষয়ে আজ ঢাকায় একটি আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হচ্ছে।

জাতিসংঘের পর্যটন বিষয়ক সংস্থা UNWTO এবং বাংলাদেশ সরকারের আয়োজনে দুদিন ব্যাপী এই সম্মেলনে অংশ নিচ্ছে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি বৌদ্ধ প্রধান দেশসহ মোট ১২ টি দেশ।

সম্মেলন থেকে বৌদ্ধ ধর্মের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন স্থাপনার একটি ম্যাপিং হবে। বাংলাদেশে বগুড়ার মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, ময়নামতি এতে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা হবে।

দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার অনেক দেশ যেভাবে বৌদ্ধ ভক্তদের জন্য আকর্ষণ হয়ে উঠেছে, বাংলাদেশ কি তাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পর্যটকদের আকর্ষিত করতে পারবে?

মি. মেনন বলছেন, তাদের সাথে পাল্লা নয়, বরং সহযোগিতা তৈরি হবে, যাতে সেখানকার স্থাপনা দেখতে যারা আসবেন, তারা বাংলাদেশ ভ্রমণ করবেন। সেভাবেই বৌদ্ধ স্থাপনাগুলোকে উপযোগী করে তোলা হচ্ছে।

বাংলাদেশে পর্যটন অবকাঠামোর সীমাবদ্ধতা স্বীকার করে পর্যটন মন্ত্রী জানান, অবকাঠামো উন্নয়নেও গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.