উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে-নসরুল হামিদ বিপু
দেশের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত করতে রামপালের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নিয়ে একটি মহল বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচার ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু।
রামপালে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ উদ্যোগে ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতার মধ্যে সোমবার বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, “মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট নিয়ে একটি মহল ও কতিপয় ব্যক্তি বা সংগঠন বিভ্রন্তিমূলক তথ্য প্রচার ও কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে যা ভিত্তিহীন, দেশের স্বার্থ বিরোধী ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতাকে বাধাগ্রস্ত করার অপপ্রয়াস ছাড়া কিছু নয়।”
রামপালে নির্মিতব্য বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সুন্দরবনের ইউনেস্কা ঘোষিত হেরিটেজ অংশ থেকে ৬৯ কিলোমিটার এবং সুন্দরবনের প্রান্তসীমা থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এই প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে কয়েকটি বামপন্থী সংগঠনসহ অ্যাক্টিভিস্টরা।
নসরুল হামিদ বলেন, “বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে অত্যাধুনিক আল্ট্রা সুপার থারমাল প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ফলে এখান থেকে পরিবেশ দূষণকারী কালো ধোঁয়া তৈরি হবে না বা ছাই উড়ে বায়ু দূষণেরও সম্ভাবনা নেই।”
সমুদ্র থেকে নদী পথে কয়লা বহনের সময় তা আচ্ছাদিত থাকবে বলে সেখান থেকেও দূষণের আশঙ্কা থাকবে না বলে জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন এবং প্রশ্নের জবাব দেন পরিবেশ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মো. শাহজাহান, যার সময়ে রামপালের বিদ্যুৎকেন্দ্রের পরিবেশ ছাড়পত্র দেওয়া হয়।
মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে ৫৮টি সুপারিশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “এই শর্তগুলোর বাস্তবায়ন হলে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।”
তবে শর্ত বাস্তবায়নের জন্য শক্তিশালী তদারিক ব্যবস্থা গড়ে তোলার উপর জোর দেন তিনি।
মৈত্রী সুপার থারমাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালিক বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক উজ্জল কান্তি ভট্টাচার্য বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে মাথাপছিু বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরিমাণ ঘন্টায় ৩৭১ কিলোওয়াট।
“যুক্তরাষ্ট্রে এর পরিমাণ ঘণ্টায় ৯৫৩৯ কিলোওয়াট। সেখানে কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে ৪০ শতাংশ, যা বাংলাদেশে শতাংশ।”
কম খরচে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হলে কয়লার উপর নির্ভশীলতা বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।