গীতা এখন ভারতে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বজরঙ্গি ভাইজান সিমেনায় ভারতে আটকে পড়া এক পাকিস্তানি শিশুর গল্প বলা হয়েছে। হৃদয়স্পর্শী এই সিনেমার কাহিনি কল্পিত। কিন্তু এমন এক বাস্তব কাহিনির সফল সমাপ্তি হয়েছে আজ, যা ভারত-পাকিস্তানে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
গীতা। কথা বলতে পারে না, কানেও শোনে না। ১০ থেকে ১২ বছর আগে বিহারের এই মেয়ে হারিয়ে যায়। তারপর দীর্ঘদিন কেটে গেলেও আর কোনো খোঁজ মেলেনি তার।
মাস দুয়েক আগে ইসলামাবাদে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের মাধ্যমে গীতার কাছে একটি ছবি পাঠানো হয়, যা দেখে গীতা তার পরিবারের সদস্যদের চিহ্নিত করে। গীতার বয়স এখন ২৩ বছর। এত দিনে ভারত-পাকিস্তানের অনেক কিছু বদলে গেছে। কিন্তু গীতা তার বাবা-মাকে ভোলেননি। ভোলেননি তার দেশকে। এ ঘটনার পর গীতার পরিবার পাকিস্তানে আসে। মেয়েকে দেখে চিনতে পারে গীতার বাবা-মা।
বজরঙ্গি ভাইজানের বাস্তবতা যেন হাতেনাতেই পাওয়া গেল। বাস্তবের গীতা ভারতের কন্যা। ভুল করে ঢুকে পড়ে পাকিস্তানে। বোবা-বধির গীতা বলতে পারেনি তার ঠিকানা, কোথা থেকে এসেছে, কেনই-বা এসেছে। কপাল তার সহায় হয়। পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় কল্যাণমূলক প্রতিষ্ঠান ইধি ফাউন্ডেশন তার দায়িত্ব নেয়। বন্দরনগরী করাচিতে ইধি ফাউন্ডেশনে প্রায় এক যুগ পার করে দেয় গীতা। কিশোরী গীতা এখন ২৩ বছরের যুবতী।
ইধি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল সাত্তার ইধির ছেলে ফয়সাল ইধি গীতাকে বিদায়ী শুভেচ্ছা জানানোর পর বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত আমরা খুশি, সে (গীতা) তার দেশে ফিরে যাচ্ছে।’
গীতার জীবনের গল্প ভারত-পাকিস্তানে ব্যাপক সাড়া ফেলে, গেল আগস্টে যখন বজরঙ্গি ভাইজান মুক্তি পায়। বলিউড সুপারস্টার সালমান খান ও কারিনা কাপুর ভারতে হারিয়ে যাওয়া একটি পাকিস্তানি মেয়ের গল্প বলেছেন এই সিনেমায়।