ফের শুরু পুলিশের ধরপাকড়
গত শুক্রবার রাত থেকে শুরু হয়েছে অনানুষ্ঠানিক এ গ্রেপ্তার অভিযান। যার মাধ্যমে আবার শুরু হল পুলিশি ধরপাকড়।
এ অভিযানে গতকাল বিকাল পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় বিএনপি-জামায়াতের অন্তত শতাধিক নেতাকর্মী ওসমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে রয়েছেন-ঢাকা জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ও সাভারের সাবেক এমপি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিনবাবু, সাভারের পৌর মেয়র ও পৌর বিএনপির সভাপতি রেফাতউল্লাহ, রাজশাহী জেলা জামায়াতের আমীর ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আবুল হাশেম এবং গাইবান্ধা জেলা জামায়াতের আমীর ডা. মো. আবদুর রহিম।
এ সময় বহু নেতাকর্মীর বাসা-বাড়িতে চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান।
এছাড়া বিভিন্ন জেলায় নানা মামলায় জামিন চেয়ে আত্মসমর্পণ করা একাধিক নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। হঠাৎ করেই এ ধরনের ধরপাকড়ের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিএনপি। সাংগঠনিক পুনর্গঠনকে বাধাগ্রস্ত করতেই বিরোধী নেতাকর্মীদের ধরপাকড় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে দলটি।
বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াত তাদের প্রতিবাদলিপিতে বলেছে, সরকারবিরোধী দলকে দমন করে একদলীয় শাসন কায়েমের লক্ষ্যে সারা দেশে জামায়াত ও ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মীদেরকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার
করছে।এদিকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দাবি করেন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে সরকারেরব্যর্থতা ঢাকতে এবং জনগণের দৃষ্টি ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তিনিসাভারের বিএনপির দুই নেতাকে গ্রেপ্তারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বিরোধী জোটের নেতাকর্মীদের নির্বাচন থেকে দূরে রাখতেই এমন গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হচ্ছে বলে বিরোধী জোটের নেতারা অভিযোগ করেছেন।