ব্যয় বিশ্লেষণ ও গণশুনানী করলে ভাড়া কমানোই যুক্তিযুক্ত
সেপ্টেম্বর ১১, ২০১৫ ঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) ঢাকা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদের ও সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজেদুল হক রুবেল এক বিবৃতিতে বাস ও সিএনজি ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে অযৌক্তিক ও গণবিরোধী আখ্যায়িত করেছে।
সরকারের এই সিদ্ধান্ত স্থগিত করারও দাবি করা হয় বিবৃতিতে।
বৃহস্পতিবার কমিউনিস্ট পার্টির এই দুই নেতা বিবৃতি দেন।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন সরকার যে ব্যয় বিশ্লেষণের মাধ্যমে ভাড়া বাড়ানোর যুক্তি তুলে ধরেছেন তা হাস্যকর। কারণ বাস ও মিনিবাস এ ৪২ ও ৩০ সিট ও ২০ শতাংশ যাত্রী ফাকা থাকে বলে যে হিসেব ধরা হয়েছে তা হাস্যকর। বাস ও মিনিবাসে ৫২ ও ৪০ সিট শুধু নয়, প্রতি ট্রিপে অন্তত: দেড়গুণ যাত্রী নেওয়া হয়।
এছাড়া গ্যারেজ খরচ ধরা হয়েছে ৬০ হাজার টাকা অথচ অধিকাংশ গাড়ী থাকে রাস্তায়। গাড়ীর অধিকাংশ লক্কড় ঝক্কড় হলেও ব্যায় হিসাব করা হয় ১০ বছর মেয়াদ ধরে, যা সবই মেয়াদউত্তীর্ণ।
এছাড়া সিএনজিতে মিটার নিয়ে নৈরাজ্যের খবর সবার জানা। যেই সিএনজিকে আরও নৈরাজ্যের সুযোগ দিতে মালিকের জমা ৬০০ থেকে ৯০০ টাকা এবং প্রতি কিলোমিটারে ৭ টাকা থেকে ১২ টাকা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, “সঠিক ব্যায় বিশ্লেষণ ও গণশুনানী ছাড়া এধরনের সিদ্ধান্ত জনগণ মানে না। তাই এ সিদ্ধান্ত স্থগিত করে যাত্রী ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রতিনিধিদের সাথে আলোচনা করে ভাড়া পুন:নির্ধারণ করুন। আমরা মনে করি এটি করলে ভাড়া বৃদ্ধি নয়, বরং ভাড়া কমানোই হবে যুক্তিযুক্ত।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ যোগাযোগ মন্ত্রীকে ভাড়া বৃদ্ধির দিকে মনোযোগ না দিয়ে ঢাকার ভাংগাচোরা রাস্তা মেরামত, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, গণপরিবহন চালুসহ দূর্নীতিমুক্তভাবে পর্যাপ্ত বিআরটিসি চালুর বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
ঢাকা জার্নাল, আগস্ট ১০, ২০১৫।