মেয়রের দায়িত্বে হত্যা মামলার প্রধান আসামী!
ঢাকা জার্নাল : নাশকতার মামলার পলাতক আসামী হিসেবে নির্বাচিত মেয়রকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলেও নতুন মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে হত্যা মামলার এক নম্বর আসামীকে। যদিও পরে হত্যা মামলা থেকে অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হয় টাকার বিনিময়ে।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলকে সম্প্রতি পলাতক মামলার আসামী হিসেবে দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বর্তমানে তিনি মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক দায়িত্ব পালন করছেন।
আর মেয়রের দায়িত্বে বসানো হয়েছে যুবদলের সাবেক সহসভাপতি ও আওয়মী লীগ কর্মী পিন্টু হত্যা মামলার প্রধান আসামী নিযাম উল আযীম নিযামকে। গত ২ জুন মেয়র হিসেবে শপথ নেন নিযাম।
এর আগে গত ৭ মে স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০০৯ সালের স্থানীয় সরকার আইনের ১২ (১) ধারা মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হয় মেয়র বুলবুলকে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি চারটি মামলায় অভিযুক্ত আসামী।
স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে জানা গেছে, স্থানীয় সরকারের আইনে (সিটি কর্পোরেশন) যে কোনো মেয়র বা কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় আদালত চার্জশিট গ্রহণ করলে তাকে সাময়িক অপসারণের বিধান রয়েছে।
সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচিত মেয়র বুলবুলের সাময়িক বরখাস্তের পর সিটি করপোরেশন আইনে প্যানেল মেয়রদের মধ্যে জেষ্ঠ্যতার ধারাবাকিতায় মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া কথা। তবে এক নম্বর প্যানেল মেয়র আনোয়ারুল আমিন আযম (২৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার) পুলিশ সদস্য সিদ্ধার্থ হত্যা মামলায় অভিুযুক্ত। একই মামলায় অভিযুক্ত দুই নম্বর প্যানেনল মেয়র ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সেলর নুরুজ্জামান টিটু। এ হিসেবে তিন নম্বর প্যানেল মেয়র নুরুন্নাহার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা। তবে তাকেও মেয়রের দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ২৭ নম্বর ওয়ার্ড কমিশনার নিযাম উল আযীম নিযামকে।
আর হত্যা মমলার আসামীকে মেয়র হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে নগর জুড়ে। বিশেষকরে আওয়ামী লীগ কর্মী পিন্টু হত্যা মামলার প্রধান আসামীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে।
অভিযোগে জানা যায়, ২০১১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর বিকেলে পিটিয়ে এবং চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। মামলার অভিযোগে বলা হয়, এক নম্বর আসামীসহ অন্যান্য আসামীরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ ঘটনা ঘটায়।
প্রকাশ্য এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রধান আসামী বর্তমান রাজশাহী সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র নিযাম উল আযীম নিযাম।
বোয়ালিয়া মডেল থানায় পিন্টু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পিন্টুর ভাই মো. মাকসুদুর রহমান মিনু বাদি হয়ে মামলা করেন (মামলা নম্বর ৩৬, তারিখ ২১-০৯ ২১১১)।
রাজশাহী মহানগরীর সংশ্লিষ্ট এলাকবাসির অভিযোগ বাদি তিন লাখ টাকা নিয়ে নিযাম উল আযীমের নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেওয়ার ব্যবস্থায় নেয়। পরে ওই টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে মারমারি বাধে।
ঢাকা জার্নাল, জুন ২১, ২০১৫