পাকিস্তানের নাগরিক সমাজও যুদ্ধাপরাধের বিচার চায়
মাশকাওয়াথ আহসান:
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতা বিরোধী অপরাধ করার অভিযোগে বাংলাদেশে আই সি টি ‘র অধীনে যে বিচার চলছে এবং কয়েকজনকে যে দন্ড দেওয়া হয়েছে। সে সম্পর্কে পাকিস্তানের কোন কোন মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া হয়েছে।
এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার , পাকিস্তানের কাছে এ ধরণের প্রতিক্রিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছে।
যে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও শাস্তির বিষয়ে যে প্রতিবাদটুকু হয়েছে , সেটি মূলত জামায়াতে ইসলামির প্রতিবাদ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামির সঙ্গে তাদের সম্পর্কের কারণেই এই প্রতিবাদ সেখানে তীব্র ভাবে লক্ষ্য করা গেছে।
পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে জামায়াত তার প্রান্তিক অবস্থান থেকে আবার এক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানের এসছে মূলত ইমরান খানের সরকার বিরোধী আন্দোলনের পর। নেওয়াজ শরীফের ক্ষমতাসীন মুসলিম লীগ সরকার জামায়াতে ইসলামির যেমন সমর্থন চাইছে , জামায়াতে ইসলামি ও তেমনি তাদের ইস্যুগুলোতে সরকারকে সম্পৃক্ত করতে চাইছে।
বর্তমান সরকারের দুজন মন্ত্রী যদিও বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন কিন্তু পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রক এটিকে তাদের ব্যক্তিগত মতামত বলে উল্লেখ করেছে।
পাকিস্তানের জনগণ বরঞ্চ এ ধরণের বিচারকে সমর্থন করেন এবং পাকিস্তানে জামায়াত তাহরিকে তালেবান পাক্স্তিানের মাধ্যমে যে জঙ্গি কার্যক্রম চালিয়েছে , তারও বিচার দাবি করেন ।
এম কিউ এম বা পিপলস পার্টির মতো রাজনৈতিক দলগুলো যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সম্পর্কে কিছু বলেনি বরঞ্চ পাকিস্তানের নাগরিক সমাজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পক্ষে মতামত প্রকাশ করেছে।
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের কারণ এবং সেই সময়কার পরিস্থিতি সম্পর্কে দীর্ঘ দিন পকিস্তানের তরুণ সমাজ অবহিত ছিল না। তাদেরকে পাঠ্য বইয়ে ঘটনাটিকে মূলত পাকিস্তান –ভারত যুদ্ধ হিসেবেই সেখানো হয়েছে কিন্তু এখনকার এই ইন্টারনেটের যুগে , তারুণ্য সম্প্রদায়ও সঠিক তথ্য পাচ্ছে এবং তারা মনে করে যে সেই সময় বাঙালিদের ন্যায্য ভাবে ক্ষমতা না দেওয়ার কারণে বঙ্গবন্ধুর নের্তৃত্বে বাঙালিরা স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু করে।
পাকিস্তানে এই ধরণের প্রতিক্রিয়ার প্রকৃত স্বরূপ কী, সাধারণ মানুষই বা সেখানে কি ভাবছেন সে নিয়ে করাচীতে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সাংবাদিক মাশকাওায়াথ আহসান কথা বলেছেন ভয়েস অফ আমেরিকার সঙ্গে।
সৌজন্যে