স্বাস্থ্যশিক্ষায় ফাঁক-ফোকর চিহ্নিত করতে জাতীয় সংলাপ
ঢাকা জার্নাল : দেশে গুণগত স্বাস্থ্যশিক্ষার প্রয়োজন দিন দিন বাড়লেও স্বাস্থ্যশিক্ষায় ব্যাপক আকারে ফাঁক-ফোকর রয়ে গেছে। তাই সমস্যা চিহ্নিত করে পুনঃশক্তি প্রয়োগ করতে হবে। আর সমাধান করতে হবে এখনি।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) তাদের অনুসন্ধানে এমন তথ্য দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির দাবি সময় নষ্ট না করে বিষয়টি সমাধানের জন্য এখনি জাতীয় সংলাপ শুরু করা জরুরি।
পিপিআরসি জানায়, দেশে গুণগত স্বাস্থ্যশিক্ষার প্রয়োজনীয়তা দিন দিন অনুভূত হচ্ছে। সামাজিক সুরক্ষার প্রেক্ষাপটে কিছু কিছু সময় অনুভূত হয়ে আসছে যে, সার্বজনীন স্বাস্থ্যশিক্ষা বিষয়টির ওপর পুনঃশক্তি প্রয়োগ করা দরকার। আর এ কারণেই দাবি জাতীয় সংলাপের।
সংলাপে সম্মিলিত প্রয়াস চালাতে এবং তার প্রক্রিয়ার উন্নয়নে সমস্যা সমাধান নিরূপণের মাধ্যমে স্বাস্থ্যশিক্ষার ফাঁকগুলো কোথায় তা চিহ্নিত করা যাবে। গুরুত্বপূর্ণ নীতি-নির্ধারণী ভূমিকা পালন করতে পারে জাতীয় সংলাপ।
শনিবার আন্তর্জাতিক সংস্থা রক ফেলারের সহায়তায় থিংক ট্যাংক গবেষণা প্রতিষ্ঠান পিপিআরসি জাতীয় সংলাপের আয়োজন করেছে। আগারগাঁও এলজিইডি মিলানায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিশেষজ্ঞদের অংশ গ্রহণে সংলাপ চলবে বেলা ২টা পর্যযন্ত।
পিপিআরসি নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরতে গণমাধ্যম কর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
পিপিআরসি আরও জানায়, সংলাপে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার-কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। সংলাপের প্যানেলে অংশ নেবেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব এম এম নিয়াজুদ্দিন, অধ্যাপক প্রাণগোপাল দত্ত, অধ্যাপক এ এস এম আহমেদ আমীন, অধ্যাপক রশিদী মাহবুব, অধ্যাপক মাহমুদ হাসান, অধ্যাপক মো. ইসমাইল খান, অধ্যাপক এম মোজাহেরুল হক, ড. সাদিয়া আফরোজ চৌধুরী এবং প্রফেসর টি আই এম এ ফারুক।
সংলাপ উপস্থাপন করবেন প্রফেসর তাহমিনা বানু এবং প্রফেসর হুমায়ন কবীর।
জাতীয় সংলাপের সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করবেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা এবং পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর রহমান।
ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ৪, ২০১৪।