মালয়েশিয়ার উড়োজাহাজ নিখোঁজ নিয়ে রহস্য ঘনিভূত
ঢাকা জার্নাল : দক্ষিণ চীন সাগরে বিধ্বস্ত নিখোঁজ মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন ফ্লাইট এমএইচ ৩৭০-এর কোনো ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়নি । এর আগের খবরে বলা হয়েছিল নিখোঁজ উড়োজাহাজের ভাঙ্গা দরজা খুঁজে পাওয়া গেছে। পরে ভিয়েতনাম কর্তৃপক্ষ এ তথ্য অস্বীকার করে। এতে করে ফ্লাইট নিখোঁজের বিষয়ে রহস্য আরো ঘনিভূত হলো।
সোমবার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভিয়েতনাম ন্যাশনাল কমিটি এ তথ্য জানিয়েছিল। খবর এএফপি।
এর আগে ঠো চো আইল্যান্ড নামক এক দ্বীপের ৫০ মাইল দূরে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে নিখোঁজ উড়োজাহাজের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে বলে খবরে বলা হয়েছিলো।
উড়োজাহাজটির খোঁজে ভিয়েতনাম একটি ন্যাশনাল কমিটি গঠন করেছে। সাগরে তল্লাশি চালানো উদ্ধারকারী দল গুলো এই কমিটির নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে। যখনই উদ্ধারকারী দল গুলো নিখোঁজ উড়োজাহাজসংক্রান্ত কোনো সংবাদ পাচ্ছে, তখনই ন্যাশনাল কমিটিকে জানাচ্ছে।
এদিকে মালয়েশিয়ান সরকার উড়োজাহাজটি কোনো সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে কি না তা জানার জন্য একটি বিশেষ অনুসন্ধান কমিটি গঠন করেছে। চুরি করা পাসপোর্ট নিয়ে ওই উড়োজাহাজে ওঠা দুই যাত্রীকে সন্দেহ করে বিশেষ এই অনুসন্ধান চালানো হচ্ছে।
শনিবার ভোর রাতে উড়োজাহাজটি এয়ার ট্রাফিক থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উড়োজাহাজটি তখন ভিয়েতনামের আকাশসীমায় ছিল বলে জানা যায়। বোয়িং ৭৭৭ ধরনের এই এয়ারক্রাফট এর আগে কখনো কোনো দুর্ঘটনায় পড়েনি। এর ট্র্যাক রেকর্ড ভালো ছিল বলে জানায় মালয়েশিয়ান কর্তৃপক্ষ। উড়োজাহাজটিতে ১৪টি দেশের ২৩৯ যাত্রী ছিলেন। তার ১৪টি দেশের নাগরিক। তবে এদের অধিকাংশ ছিলেন চীনের। উড়োজাহাজটি কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাচ্ছিল। উড্ডয়নের দুই ঘণ্টা পর উড়োজাহাজটির সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ১০, ২০১৪।