বিনোদন

৪৮ এ পা দিলেন আমির খান

amir-khan-9ঢাকা জার্নাল: জীবনের ৪৮টি বসন্ত পার করলেন বলিউড অভিনেতা আমির খান। তাঁর দীর্ঘ ১৫ বছরের অভিনয় জীবনের সেরা ২০টি ছবি পেছন ফিরে দেখা হোক।

কেয়ামত সে কেয়ামত, ১৯৮৮: প্রথম বার নায়কের চরিত্রে দেখা গেল আমিরকে। প্রথম ছবিই সুপারহিট। এল ফিল্মফেয়ারে পেয়েছিল

সেরা অভিনেতার মনোনয়ন। জাতীয় পুরস্কারের মঞ্চেও স্পেশ্যাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন আমির।

দিল, ১৯৯০ : পুরো নব্বইয়ের দশক চুটিয়ে অভিনয় করেছেন আমির। থ্যাতির শীর্ষে থেকেছেন বেশির ভাগ সময়ই। কিন্তু দিল ছাড়া আমির-মাধুরী জুটি পর্দায় কখনও একসঙ্গে আসেনি । এই জুটির একমাত্র ছবি। বক্সঅফিসে সুপারহিট।

দিল হ্যায় কে মানতা ন‍াহি, ১৯৯১: নব্বইয়ের দশকে প্রায় সব অভিনেত্রীর সঙ্গে হিট ছবি দিয়েছেন আমির। পূজা ভটের সঙ্গে দিল হ্যায় কে মানতা ন‍াহি নব্বইয়ের দশকের সেরা প্রেমের ছবিগুলির একটি।

জো জিতা ওহি সিকন্দর, ১৯৯২ : জীবনের অন্যতম হিট। ততদিনে জুহি চাওলার সঙ্গে হিট জুটি তৈরি হয়ে গেলেও নতুন নায়িকা আয়েষা জুলকার সঙ্গে তাঁর রসায়ন আজও পছন্দ করে দর্শক।

হাম হ্যায় রাহি পেয়ার কে, ১৯৯৩ : আমিরের ক্যারিয়ারের শুরুর অন্যতম মাইলস্টোন। মুখ্য চরিত্র শুধু নয়, ছবির চিত্রনাট্যও লিখেছিলেন আমির খান।

আন্দাজ আপনা আপনা, ১৯৯৪: প্রথম বার পর্দায় একসঙ্গে আসেন আমির ও সালমান খান। ছবি সুপারহিট। শুধু বক্সঅফিসে নয়, সমালোচকদের বিচারেও ভারতের অন্যতম ছবি হয়ে রয়েছে আন্দাজ আপনা আপনা।

বাজি, ১৯৯৫ : বাজি ছবিতে নারী চরিত্রে আমিরের মেকওভার এখনও বলিউডের সেরা মেকওভারের একটি। বছরের সেরা মিউজিক্যাল হিট ছিল বাজি।

রঙ্গিলা, ১৯৯৫ : রাম গোপাল ভার্মার একমাত্র ছবি যেখানে অভিনয় করেছিলেন আমির। উর্মিলা মাতন্ডকরের সঙ্গে আমিরের জুটি দর্শক দারুন ভাবে গ্রহণ করলেও আর কোনও ছবিতেই দু`জনকে পাওয়া যায়নি একসঙ্গে।

আকেলে হাম আকেলে তুম, ১৯৯৫ : আমিরের প্রথম পারিবারিক ছবি। অভিনয়ের জন্য উচ্চপ্রশংসিত হলেও নিজেরই ছবি রঙ্গিলা ও বাজির সাফল্যে চাপা পড়ে যায় আকেলে হাম আকেলে তুম।

রাজা হিন্দুস্তানি, ১৯৯৬: আমিরের ক্যারিয়ারের ব্লকবাস্টার ছবি রাজা হিন্দুস্তানি। প্রথম বার সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান আমির।

গুলাম, ১৯৯৮: রাজা হিন্দুস্তানির পর আমিরের সুপারহিট ছবি গুলাম। আমিরের নিজের গলায় গাওয়া `কেয়া বোলতি তু`তে মন মজেনি এমন লোক খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। সেরা অভিনেতার পাশাপাশি সেরা গায়কের মনোনয়নও পেয়েছিলেন আমির।

সরফরোশ, ১৯৯৯: প্রথম বার রাফ অ্যান্ড টাফ হিরোর ভূমিকায় দেখা যায় আমিরকে। আদর্শবান আইপিএস অফিসারের ভূমিকায় আমির মুগ্ধ করেছিলেন সমালোচকদের।

লগন, ২০০১: ফর্সা, টুকটুকে চকোলেট বয় ইমেজ থেকে বেরিয়ে প্রথম গ্রামের ছেলের ভূমিকায় অভিনয় করেন আমির। সাফল্যের বিচারে আমিরের জীবনের সেরা ছবি। দ্বিতীয় বারের জন্য সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জেতেন আমির। অস্কারে বিদেশি ছবির বিভাগে সেরা পাঁচে মনোনয়ন পেয়েছিল লগন।

দিল চাহতা হ্যায়, ২০০১: ভারতীয় চলচ্চিত্রের অন্যতম ছবি ‘দিল চাহতা হ্যায়’। আমির ছবির মুখ্য চরিত্র না হলেও সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পেয়েছিলেন আমির।

মঙ্গল পাণ্ডে দ্য রাইসিং, ২০০৫ : আমিরের জীবনের একমাত্র ঐতিহাসিক ছবি। মঙ্গল পাণ্ডে দর্শকদের মনে ছাপ ফেলতে না পারলেও নজর কেড়েছিলেন আমির।

রং দে বসন্তি, ২০০৫: বহুদিন পর ফের কলেজ ছাত্রের ভূমিকায় দেখা যায় আমিরকে। নিজের থেকে অর্ধেক বয়সের অভিনেতাদের মাঝে আমির বুঝিয়েছিলেন কেন তিনি পারফেকশনিস্ট। ক্রিটিকদের বিচারে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জেতেন আমির।

তারে জমিন পর, ২০০৭ : প্রথম বার পরিচালনায় এলেন আমির। আমিরের জীবনের সেই ছবি যা কাঁদিয়েছিল আট থেকে আশিকে। সেরা অভিনেতার মনোনয়নেই আটকে যান আমির। তবে সেরা পরিচালকরের পুরস্কার ছিল তাঁর জন্যই।

গজনি, ২০০৮ : চকোলেট বয়, বুদ্ধিদীপ্ত অভিনেতা, পূর্বের সবরকম ইমেজ থেকে বেরিয়ে এইট প্যাক আমিরকে দেখা যায় এই ছবিতে। ছবির মধ্যেই কখনও সুঠাম চেহারার বিজনেস ম্যান থেকে পেশিবহুল অসুস্থ গজনি হয়ে ওঠা। সেরা অভিনেতার মনোনয়ন পেয়েও ট্রফি হারালেও জুটেছিল ভক্ত, সমালোচক সব মহলের লাখো কুর্নিশ।

থ্রি ইডিয়টস, ২০০৯: এখনও পর্যন্ত বক্সঅফিসের হিসেবে সর্বোচ্চ লক্ষ্মীলাভের ছবি। চুয়াল্লিশ বছর বয়সেও কলেজ স্টুডেন্টের ভূমিকায় অভিনয় করেন আমির। আরও একবার সেরা অভিনেতার ফিল্মফেয়ার মনোনয়ন পেলেও অধরাই থেকে ট্রফি।

তলাস, ২০১২: এখনও পর্যন্ত আমিরের সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি। দর্শকদের প্রচুর প্রত্যাশা থাকলেও বক্সঅফিস হতাশ করে আমিরকে। জোটেনি সমালোচকদের প্রশংসাও। তবে আমির ছিলেন প্রশংসনীয়।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.