৪৪ বছরেও প্রতিষ্ঠিত হয়নি মানবাধিকারের সংস্কৃতি
বিজয়ের ৪৪ বছর পার হলেও দেশে মানবাধিকারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়নি বলে অভিমত দিয়েছেন মানবাধিকার কর্মীদের। তারা বলছেন, দেশে নাগরিক অধিকার রক্ষায় আশার প্রতিফলন ঘটাতে হবে রাষ্ট্রকেই। তবে অন্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থা উন্নত দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মানুষের অধিকার রক্ষায় কাজ করছে। বৃহস্পতিবার সময় টিভির এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য ওঠে আসে। প্রতিবেদনে বলা হয়, খুলনার রাকিব কিংবা সিলেটের রাজন। নামগুলো এখন আর অপরিচিত নয়। মানবিক আবেদনকে ছাপানো এই ঘটনাগুলোর বিচার কাজ শেষ হয়েছে দ্রুততার সাথে। তবে, মানবাধিকার সংগঠনগুলোর পরিসংখ্যান দিচ্ছে ভয়াবহ তথ্য।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত গুম হয়েছে ৪৪ জন আর বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন ১’শ ৭১ জন। পাশাপাশি রয়েছে রাজনৈতিক সহিংসতা আর সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার। তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দাবি দেশে কোন বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নাই। আর মানবাধিকার কর্মীদের মতে, বিচার না পাওয়ার সংস্কৃতি উদ্বেগ জনক। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের নির্বাহী পরিচালক সুলতানা কামাল বলেন, ‘বিচার চাইলে বিচার পাওয়া যাবে না এবং যারা অপরাধ করে তারা আইনের ঊর্ধ্বে থেকে যাবে এই বোধটা মানবাধিকারের জন্য খুবই উদ্বেগজনক।
‘ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্র সমগ্র শক্তি নিয়োগ করবে নাগরিককে উদ্ধারের জন্য। নাগরিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের ক্ষেত্রে আমরা যতটা প্রত্যাশা করেছিলাম তার আশানুরূপ অর্জন আমরা করতে পেরেছি বলে দাবি করতে পারছি না।’ বৈষম্য কাটিয়ে সমাজের দরিদ্র মানুষগুলোকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধান নিশ্চিত করা না গেলে মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নতি হবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।