Lead

৩ অক্টোবর থেকে পলিটেকনিকের পরীক্ষা

logo20130930103727 (1)ঢাকা জার্নাল: সারাদেশের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলোর পরীক্ষা ৩ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে নির্দিষ্ট সিডিউলেই নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষা বোর্ড। সেক্ষেত্রে ২৯ ও ৩০  সেপ্টেম্বর এবং ১ ও ২ অক্টোবর এই চার দিনের পরীক্ষার তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে।

বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, ২৯ সেপ্টেম্বর রোববার থেকে কারিগরি শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ডিপ্লোমা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের জোড় সেমিস্টারের (২য়, ৪র্থ, ৬ষ্ঠ, ৮ম) পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল।

কিন্তু শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করায় সকল প্রস্তুতি সত্ত্বেও ২৯ সেপ্টেম্বর ও ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য কোনো পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয়নি।

উল্লেখ্য, উপ-সহকারী প্রকৌশলীর পদ অব্যহত রাখা এবং বেতন বৈষম্য দূর করা এ দুই দফা দাবিতে গত কয়েকদিন যাবৎ আন্দোলন করে আসছিল সারা দেশের ডিপ্লোমা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। একই সাথে সকল পরীক্ষাও বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা।

সোমবার দুপুরে শিক্ষা ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের যৌথ সভায় আন্দোলনরত পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেয় সরকার।

শিক্ষার্থীদের দাবি ছিল, তাদের দাবি মেনে নেয়ার তিন দিন পর থেকে পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে। কারণ, এ তিন দিনে তারা পরীক্ষার প্রস্তুতি গ্রহণ করবে। সে অনুযায়ী ১ অক্টোবর ও আগামী ২ অক্টোবরের পরীক্ষাও পরবর্তীতে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয় কারিগরী শিক্ষা বোর্ড।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী বাংলানিউজকে বলেন,‘ বৃহস্পতিবার থেকে পূর্ব নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যে চারটি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়নি তার তারিখ পরে জানানো হবে। পরীক্ষার মধ্যে বেশ কয়েকদিন করে ছুটি থাকে সেই ছুটির মধ্যেই এ পরীক্ষাগুলো নিয়ে নেয়া হবে।’

দেশের রাজনৈতিক অস্থিতিরতার কারণে পরীক্ষার্থীরা কোনো ধরণের সেশন জটে পরতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের রাজনৈতিক অবস্থার কথা রাজনীতিবিদরা ভালো বলতে পারবেন। তবে আমি মনে করি না পরীক্ষার্থীরা কোনো ধরণের সেশন জটে পড়বেন। আমি আশা করি, আমরা সঠিক সময়েই সকল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত করতে পারবো।’

বাংলাদেশ কারিগরী ছাত্র পরিষদের সদস্য সচিব মামুন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন,‘আমি আশা করি আমরা সেশন জটে পড়বো না। তবে রাজনৈতিক অস্থিতিরতার কারণে যদি আমরা সেশন জটে পড়ি তাহলে সেটা হবে চিন্তার বিষয়। কারণ আমাদের পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২ থেকে ৩ মাসের মধ্যেই ডুয়েটের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় এবং এর মধ্যে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হয়।’

তবে রাজনৈতিক অস্থিতিরতার কারণে পরীক্ষা পিছিয়ে গেলে ডুয়েটের ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।

উল্লেখ্য, সরকারের পক্ষ থেকে দাবি মেনে নেয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন কর্মসূচী আগামী ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করেছে।

ঢাকা জার্নাল, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৩

 

 

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.