শীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনাম

৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে ছিটমহল হস্তান্তর

Sitsm_855585374ঢাকা: স্থলসীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নে যৌথ রূপরেখা দিয়েছে বাংলাদেশ ও ভারত। রূপরেখা অনুযায়ী ৩১ জুলাই মধ্যরাত থেকে দুই দেশের ছিটমহলগুলো হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হবে।

হস্তান্তরের দিনটিকে ‘অ্যাপয়েন্টেড ডে’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ-ভারত।

চুক্তি অনুসমর্থনের দলিল হস্তান্তরের পর সোমবার (০৮ জুন) বিকালে ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাঠানো এক  প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও পৃথক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত সরকারের সম্মতিতে দুই দেশের ছিটমহলে কর্মকর্তা ও প্রতিনিধিরা যৌথভাবে পরিদর্শনের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট এলাকায় দুই পক্ষই প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে।

নিরাপদে সহায়-সম্বলসহ বাংলাদেশ অথবা ভারতে স্থানান্তরিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ।

‘অ্যাপয়েন্ট ডে’তে ছিটমহল বিনিময় প্রক্রিয়া শুরুর আগে ১৯৭৪ সালের বিনিময় চুক্তি ও ২০১১ সালের প্রটোকল অনুযায়ী ছিটের বাসিন্দাদের জাতীয়তা ও নাগরিকত্বের বিষয়ে উভয় দেশের পক্ষ থেকে জানানো হবে।

তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তারা বাংলাদেশ নাকি ভারতের নাগরিক হতে চায়, সে বিষয়েও মতামত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে নিশ্চিত হয়ে তাদের নাম-ঠিকানাসহ তালিকা প্রস্তুত করা হবে।

তাদের তথ্য ও ছবি সংগ্রহ করে রাখা হবে, যাতে পছন্দের দেশে যাওয়া সহজ হয়।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব ও ভারতের পররাষ্ট্র সচিবের স্বাক্ষরিত ওই ওই রূপরেখায় বলা হয়, দুই দেশের ছিটমহলে বসবাসকারীদের জমির রেকর্ড, বাসিন্দাদের অস্থাবর সম্পত্তি ছিটমহলের প্রকৃত হস্তান্তরের তারিখ পর্যন্ত নিরাপদে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন সেসব রেকর্ড হস্তান্তরের ব্যবস্থা করবে। একপক্ষ অন্যপক্ষকে হস্তান্তরের সময় ও স্থান আগে থেকে জানিয়ে দেবে বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের লোকসভায় দীর্ঘপ্রতীক্ষিত বাংলাদেশ-ভারত স্থল সীমান্ত চুক্তি ১৯৭৪ এবং প্রটোকল ২০১১ পাস হয়। এরপর গত ৬ জুন ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর ঢাকা সফরকালে ওই চুক্তির দলিল হস্তান্তর হয়।

চুক্তির ফলে বাংলাদেশে ভারতের ১১১টি ছিটমহলে ৩৭ হাজার ৩৬৯ জন মানুষ বাংলাদেশের নাগরিক এবং ভারতের ভেতরে বাংলাদেশের ৫১টি ছিটমহলে ১৪ হাজার ২১১ জন ভারতের নাগরিক হওয়ার সুবিধা পাবে।

যারা নাগরিকত্ব বদল করতে চাইবে না তারা নিজ দেশের মূল ভূখণ্ডে চলে যেতে পারবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জুন ০৮, ২০১৫

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.