Leadশিক্ষা-সংস্কৃতিসব সংবাদ

২০২০ সাল থেকে সিজিপিএ

পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ (গ্রেড পয়েন্ট এভারেজ-৫) এর পরিবর্তে সিজিপিএ-৪ (কুমুলেটিভ গ্রেট পয়েন্ট এভারেজ বা সিজিপিএ) চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে জেএসসি-জেডিসির ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পুরোটা বিশ্লেষণ করে দেখছি। আগামী বছর থেকে চালু করবো বলে আমরা আশা করছি।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যত কম জিপিএ-৫ নিয়ে কথা বলবো, তত আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য ভালো, শিক্ষার জন্য ভালো। জিপিএ-৫ এর উন্মাদনায় শিশুদের, শিক্ষার্থীদের জীবন একেবারে নিরানন্দ করে তুলছি। তার ওপর তাদের মন বিষিয়ে দিচ্ছি। শিক্ষার্থীদের ওপর অবিশ্বাস্যরকম চাপ, অভিভাবক, বন্ধু-বান্ধবের চাপ, জিপিএ-৫ জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হতে পারে না।’

দীপু মনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা পাস করছে এবং ভালো নম্বর পাচ্ছে, দেখার বিষয় তো সেটিও হওয়া উচিত। জিপিএ-৫ আসলে আমাদের মাথা থেকে বের করে দেওয়া উচিত। আমাদের শিক্ষার্থীরা শিখছে কিনা, আনন্দের সঙ্গে শিখছে কিনা, নিজেদের যে সুপ্ত প্রতিভা আছে সেটি বিকশিত করার ক্ষেত্রে আমরা সহযোগিতা করতে পারছি কিনা সেগুলোই মুখ্য হওয়া উচিত। আমরা এ বিষয়গুলো ধারাবাহিক মূল্যায়নে নিয়ে আসছি। আগে এক সময় দেখা যেত, বাচ্চা বিষয়গুলো না শিখলেও নম্বর যুক্ত হতো। এখন আর সে সুযোগ থাকছে না। আমরা নতুন করে ধারাবাহিক মূল্যায়নের পদ্ধতি পাইলটিং ভিত্তিতে চালু করছি। সেখানে প্রতিটি কাজ শিক্ষার্থীকে করতে হবে। শিক্ষকদেরও সেগুলো ডিজিটালি ইমপুট দিতে হবে, কেন্দ্রীয়ভাবে তা এসে যাবে। কাজেই মূল্যায়ন পদ্ধতিগুলো আরও উন্নত করার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার জায়গায় গুণগত মান উন্নয়নের চেষ্টা করছি। সেজন্য পুরো মাইন্ডসেটের পরিবর্তন করতে হবে। দেখতে হবে আমাদের শিশুরা কোন কোন বিষয়ে কাজ করছে। তাদের মধ্যে দেশপ্রেম গড়ে উঠছে কিনা, শিক্ষার্থী কমিউনিকেটিভ হচ্ছে কিনা, চিন্তা করতে পারছে কিনা, তাদের সৃজনশীলতার বিকাশ ঘটছে কিনা। আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশের সুযোগ বাড়াতে পারছি কিনা, সেই পরিবেশ তৈরি করতে পারছি কিনা? আমরা জিপিএ নিয়ে পরিবর্তন করে গ্রেডিং করার কাজ করছি। আমরা ধারাবাহিক মূল্যায়নের দিকে যাচ্ছি। সমাপনী পরীক্ষাগুলোতে জিপিএ-৫ তুলে দিয়ে কীভাবে মূল্যায়ন করতে পারি, সে বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীরও কিছু দিকনির্দেশনা রয়েছে, আমরা সেটি নিয়ে কাজ করছি।’

জিপিএ-৪ সামনের বছর চালু করা যাবে কিনা জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কথা বলেছিলাম এ বছর করতে পারি কিনা। কিন্তু আমাদের মনে হয়েছে তাড়াহুড়া করা ঠিক হবে না। আমরা পুরোটা বিশ্লেষণ করে দেখছি। আগামী বছর থেকে চালু করবো বলে আমরা আশা করছি।’