১৪ বছরের সাজা হতে পারে ক্রিকেটার শাহাদাতের
ক্রীড়া প্রতিবেদক : শিশু গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতন মামলায় অভিযুক্ত জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীব ও তার স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্য। এ দম্পতির বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ১৪ বছরের সাজা হতে পারে।
বার্তা সংস্থা এএফপি এমনই একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মিরপুর থানার পুলিশ কর্মকর্তা শফিকুর রহমান এএফপিকে বলেন, ‘শাহাদাত ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাদের প্রাথমিক তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।’
গত ৬ সেপ্টেম্বর পল্লবীর সাংবাদিক কলোনি থেকে ১১ বছর বয়সি মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে পেয়ে থানায় নিয়ে যান খন্দকার মোজাম্মেল হক নামের এক সাংবাদিক। পরে শিশুটিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়। পরে সাংবাদিকদের কাছে শাহাদাতের বাসায় নির্যাতিত হওয়ার বিবরণ দেয় শিশুটি। পরে সাংবাদিক মোজাম্মেল এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন।
মামলার ঘটনার পরপরই গা ঠাকা দেন শাহাদাত হোসেন ও তার স্ত্রী নিত্য। প্রায় এক মাস পর গত ৩ অক্টোবর স্ত্রী জেসমিন জাহান নিত্যকে মালিবাগের পাবনা গলির তার বাবার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিত্য গ্রেফতারের একদিন পর শাহাদাত আত্মসমর্পণ করেন। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে গত ২৯ ডিসেম্বর এই মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে মিরপুর থানা পুলিশ।
পুলিশের ভাষ্য দোষী প্রমাণিত হলে তাদের দুজনের ১৪ বছরের সাজা হবে। তবে শাহাদাত হোসেন তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
পুলিশের দাবি, শিশুকর্মী হ্যাপিকে মারধর করেছেন শাহাদাত দম্পতি। হ্যাপির হাত রান্নার উপকরণ দিয়ে পুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। চোখের নিচের কালো দাগগুলো প্রমাণ করে হ্যাপিকে নির্যাতন করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার পুরো শরীরে আঘাতের আলামত পেয়েছে পুলিশ।
গত বুধবার শাহাদাত এএফপিকে বলেছেন,‘ অভিযোগ `মিথ্যা `। এ অভিযোগ আমার ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দিচ্ছে। আমি নির্দোষ। যারা আমাকে চিনে তারা জানে আমি কিরকম। ’
শাহাদাত হোসেন রাজীব নির্দোষ প্রমাণিত হোক আর নাই হোক। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের ক্রিকেটের গায়ে কালিমা ছিটিয়েছে।