Leadশীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনাম

১২টা ১ মিনিটে কাদের মোল্লার ফাঁসি

Kader-Mollah-Hanging_1-660x330ঢাকা জার্নাল: মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা কাদের মোল্লার ফাঁসি মঙ্গলবার রাত ১২ টার পর কার্যকর হবে বলে এটিএন টাইমসকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু।
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এটিএন টাইমসকে আরো বলেন, রাতেই রায় কার্যকর হবে।

এদিকে আইন প্রতিমন্ত্রী কামরুল ইসলাম নিজ বাসভবনে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, রাতেই রায় কার্যকর হবে। মৃত্যু পরোয়ানা স্থগিত করতে চেম্বার জজের কাছে তিনদিনের মধ্যে আবেদন জানানোর সুযোগ ছিল। কিন্তু তারা তা করেনি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১৯৭৩ অনুযায়ী রিভিউ আপিলের সুযোগ নেই।

রাত আটটায় কারাফটকের সামনে জেলসুপার ফরমান আলী সাংবাদিকদের জানান, রাত ১২টা ১ মিনিটে কাদের মোল্লার ফাঁসি কার্যকর করা হবে। বিষয়টি কাদের মোল্লাকে জানানো হয়েছে। তবে তার কার কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি।
গত ৫ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে কাদের মোল্লাকে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডাদেশের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। এরপর আবদুল কাদের মোল্লাকে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার-২ থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।

একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল কাদের মোল্লার বিরুদ্ধে রোববার মৃত্যু পরোয়ানা জারি করা হয়। মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ থেকে তার মৃত্যু পরোয়ানা রোববার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়।

২০১০ সালের ১৩ জুলাই অন্য একটি মামলায় কাদের মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই বছরের ১৪ অক্টোবর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তদন্ত শুরু হয় ২১ জুলাই। গত বছরের ২৮ মে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। ৩ জুলাই থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গত ৫ ফেব্রুয়ারি তাঁকে যাবজ্জীবন সাজার রায় দেন ট্রাইব্যুনাল-২।

এরপর আপিলের শুনানি শেষে গত ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতে আবদুল কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন।

ঢাকা জার্নাল, ডিসেম্বর ১০, ২০১৩।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.