শীর্ষ সংবাদ

হেফাজতের আক্রমনে বিজিবি-পুলিশের ৪ সদস্য নিহত

Clash-paltan-bg20130505002301ঢাকা জার্নাল: সকাল আটটা থেকে শুরু গওয়া নারায়ণগঞ্চের কাঁচপুরে হেফাজতে ইসলামের সঙ্গে সংঘর্ষে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একজন ও পুলিশের দুইজন সদস্য নিহত হয়েছেন। এছাড়া রোববার মতিঝিলে সংঘর্ষে আহত এসআই শাহজাহান সোমবার সকালে মারা গেছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে সবার মৃতদেহ রাখা হয়েছে।

সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ওপর এ সংঘর্ষের ঘটনায় বিজিবি-পুলিশের তিনজন মারাত্মক আহত হন। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পর তাদের মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. হরিদাস সাহা প্রতাপ।

নিহত বিজিবি সদস্য হলেন শাহ আলম (৪০), পুলিশের নায়েক ফিরোজ (৩৫) ও কনস্টেবল জাকারিয়া (২৮)।

এছাড়া এসআই শাহজাহান (৪৭) ঢামেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। তিনি মিরপুর পুলিশ লাইনে পিএমও হিসেবে কর্মরত ছিলেন। হেফাজতের ঢাকা অবরোধের দিন তাকে মতিঝিলে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

কাঁচপুরে আহত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর আরো চার সদস্য ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তারা হলেন, সিপাহী লাবলু, এসআই (এবি) সোলেমান, কনস্টেবল পান্নু ও হারুনুর রশিদ।

সকালে হেফাজতে ইসলামের সহিংসতায় সাইফুল ইসলাম নামের আরেকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তিনি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার পুলিন্দা গ্রামের বাসিন্দা। ফাহিম ফ্যাশনসে সেলসম্যানের কাজ করতেন তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হাসপাতালে সূত্রে জানা গেছে, রোববার দিনভর মতিঝিল, পুরান পল্টন, দৈনিক বাংলার মোড় প্রভৃতি এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে হেফাজত। দিনে ও রাতে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায় তারা। ধর্মীয় বইপত্রের দোকানও রেহাই পায়নি তাদের হামলার হাত থেকে। মতিঝিল, পল্টন রীতিমতো যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হয়। আগুন, ভাঙচুর চালায় ফুটপাতের সহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। রাস্তার বিভাজক ভেঙে, গাছ ফেলে, আগুন দিয়ে, গাড়ি ভাঙচুর করে ঢাকা অচল করে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করে হেফাজত।

এর মধ্যে সংগঠনটির প্রধান নেতা শাহ আহমদ শফী দাবি আদায় না হওয়া কর্মীদের প্রতি রাস্তায় অবস্থানের আহ্বান জানান। পরে গভীর রাতে পুলিশ, বিজিবি ও ৠাবের সমন্বিত অভিযানে মতিঝিল থেকে হেফাজতের লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এদিন রাতে সহিংসতায় সাতজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছে আরো অনেকে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.