হুদহুদ: অন্ধ্র প্রদেশের লাখ লাখ মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে
ঢাকা জার্নাল: প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’ যতোটা ভাবা হচ্ছিল তার চেয়ে দ্রুতগতিতে ভারতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার দুপুর নাগাদ ভারতের উপকূলীয় অঞ্চল অন্ধ্র প্রদেশে আঘাত হানবে।
আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সেখান থেকে হাজার হাজার বাসিন্দাদের সরিয়ে অন্যত্র নেওয়া হয়েছে। সেনা ও নৌ বাহিনীর কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া ও এনডিটিভি।
ভারতের আবহাওয়া অধিদফতর থেকে বলা হয়, সাইক্লোনটি ঘণ্টায় ১৭০-১৮০ কি.মি বেগে আঘাত হানতে পারে। এরইমধ্যে ভারতের উপকূলের পাঁচ লক্ষাধিক মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, ভারতের আকাশে যখন দুর্যোগের ঘনঘটা তখন উচ্চ পর্যায়ের এক জরুরি সভা ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
অন্যদিকে, হুদহুদের প্রভাবে বাংলাদেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। শনিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্নস্থানে বৃষ্টিপাতের কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
আবহাওয়া অধিদফতরের ডিউটি অ্যাসিস্ট্যান্ট জানান, টেকনাফে ১ মিলিমিটার, কুতুবদিয়ায় ৯ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১ মিলিমিটার, মাইজদী কোর্টে ১৯ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ৫৯ মিলিমিটার, কুমিল্লায় ২৩ মিলিমিটার, ঢাকায় ১ মিলিমিটার, ভোলায় ২ মিলিমিটার, পটুয়াখালীতে ২ মিলিমিটার, মংলায় ১১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ‘হুদহুদ’র প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-৩ ফুটের বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর।
এছাড়া ঘূর্ণিঝড়ের কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ০৩ (তিন) নম্বর স্থানীয় সর্তকতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
ঢাকা জার্নাল, অক্টোবর ১১, ২০১৪