Leadখেলা

বড় হারের পরও ইতিবাচক চিন্তা করছেন শান্ত

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক

চেন্নাই টেস্টে ভারতকে হারাতে হলে ইতিহাস গড়তে হতো বাংলাদেশকে। এই ম্যাচে জয় তুলে নেওয়াটা টাইগারদের জন্য অনেকটা অসম্ভব তা দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিং শুরু হওয়ার আগেই ধরে নিয়েছিলেন বেশিরভাগ সমর্থক। অবশেষে হলোও তাই। ২৮০ রানের রেকর্ড ব্যবধানে সিরিজের প্রথম টেস্টে হেরেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

তবে এই হারের পরও এই টেস্ট ম্যাচটি থেকে শিক্ষা নেওয়ার মতো অনেককিছু আছে, এমনটা জানিয়েছেন টাইগার অধিনায়ক নিজেই। ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন শান্ত।

‘এই টেস্টে ইতিবাচক দিক বলতে তাসকিন-হাসানদের বোলিং। তারা প্রথম ইনিংসের প্রথম ২-৩ ঘণ্টা যেভাবে বোলিং করেছেন, তাতে বেশ চাপে ছিল ভারতীয় ব্যাটাররা। যদিও পরবর্তীতে তারা ঘুরে দাঁড়ায়। আমরা নতুন বল বেশ ভালোভাবে কাজে লাগাতে পেরেছি। কিন্তু সেই ধারাবাহিকতা আর ধরে রাখতে পারিনি।’

এই টেস্ট ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত করেছিল সফরকারী বাংলাদেশ। প্রথম দিনের প্রথম দুই সেশন ভারতের মাটিতে নিজেদের দাপট দেখিয়েছেন টাইগার বোলাররা। চেন্নাইয়ের স্পিন সহায়ক পিচে ঝলক দেখিয়েছেন বাংলাদেশী পেসাররাই। হাসান মাহমুদের ফাইফার সহ ভারতের প্রথম ইনিংসের নয়টি উইকেটই তুলে নিয়েছিলেন টাইগার পেসাররা।

তবে ঘরের মাটিতে শুরুতে ধাক্কা খেলেও ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। ব্যাট হাতে রানপাহাড়ে চড়ার পর বল হাতেও বাংলাদেশী ব্যাটারদের ধ্বসিয়ে দেন স্বাগতিক পেসাররা। ফলো অনও এড়াতে পারেনি বাংলাদেশ।

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে আবারও গর্জে ওঠে স্বাগতিকদের ব্যাট। পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আজ (রবিবার) প্রথম সেশনেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। তবে এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৮২ রান এসেছে অধিনায়ক শান্তর ব্যাট থেকেই। দীর্ঘ সময় উইকেটে টিকে থেকে রান ব্যবধান কমিয়েছেন তিনি।

‘ব্যাটার হিসেবে আমি সবসময় অবদান রাখতে চাই দলে। আমি আমার ব্যাটিং উপভোগ করি। আজকে আমরা লম্বা সময় ধরে ব্যাট করতে চেয়েছি। নিজেদের শক্তির জায়গাটায় খেলতে চেয়েছি।’- এমনটাই বলেছেন শান্ত।

লাল বলের সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ ম্যাচে আগামী শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) কানপুরের মাঠে স্বাগতিকদের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। সে ম্যাচটায় ভালো কিছুর আশা করছেন টাইগার অধিনায়ক, ‘কানপুরের ম্যাচটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমাদের বোলাররা ভালো করেছে। আমি আশা করব আমাদের ব্যাটাররাও ওই ম্যাচে ভালো করবে।’