শীর্ষ সংবাদসব সংবাদ

হানিফ পরিবহনের আই-২ সিটে বসেছিলেন ফরহাদ মজহার: র‌্যাব

ঢাকা জার্নাল : যশোরের নওয়াপাড়া থেকে কবি, কলামিস্ট ও বুদ্ধিজীবী ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করেছে র‌্যাব-৬। রবিবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নওয়াপাড়ার হানিফ পরিবহনের একটি কোচ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।
র‌্যাব জানায়, খুলনা-যশোর মহাসড়কের নওয়াপাড়া এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বাস তল্লাশি করে তাকে উদ্ধার করা হয়। হানিফ পরিবহনের একটি বাসের আই-২ সিটে ফরহাদ মজহার বসে ছিলেন। তিনি খুলনা থেকে রাত সোয়া ৯টায় ছেড়ে আসা হানিফ পরিবহনের বাসে উঠেছিলেন।

র‌্যাব-৬ এর পরিচালক অতিরিক্ত ডিআইজি খোন্দকার রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, র‌্যাব-৬ তথ্য নিশ্চিত হয়ে নওয়াপাড়ায় অবস্থান নিয়ে যানবাহনে তল্লাশি করে। এ সময় অভয়নগর থানা পুলিশেরও সহায়তা ছিল।
তবে প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাত ১১টার দিকে নওয়াপাড়া এলাকায় হানিফ পরিবহনের কাউন্টারের সামনে খুলনা থেকে র‌্যাবের একটি গাড়ি পৌঁছায়। তারা প্রথমে সেখানে অবস্থান নিয়ে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা দু’টো পরিবহনের গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চলে যান।

এছাড়া হানিফ পরিবহনের স্থানীয় ব্যবস্থাপক বুলবুল আহমেদ জানান, খুলনা থেকে ছেড়ে আসা তাদের একটি এসি কোচ (নম্বর-৫০৫) নওয়াপাড়া ছেড়ে বেঙ্গল মিল রেল ক্রসিঙের আগে পৌঁছালে পুলিশ সেখানে কোচটি দাঁড় করায়।

সেই বাসের একজন যাত্রীকে উদ্ধৃত করে তিনি আরও জানান, ওই গাড়ি থেকে একজন বয়স্ক ভদ্রলোককে তারা নামিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। তবে, পুলিশ কাকে নামিয়ে নিয়ে গেছে তা তিনি বলতে পারেননি।

অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান বলেন, ‘ফরহাদ মজহার এখন আমার হেফাজতে রয়েছেন। ঊর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’ তবে এসি গাড়িতে অভিযানের বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

জানতে চাইলে যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ মো. আবু সরোয়ার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফরহাদ মজহার উদ্ধার হয়েছেন। তবে তাকে কিভাবে উদ্ধার করা হয়েছে সে সংক্রান্ত কোনও তথ্য আমার জানা নেই।’

র‌্যাব-৬ যশোর ক্যাম্পের ইনচার্জের সঙ্গে বলেন, ‘ফরহাদ মজহারকে নওয়াপাড়া থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকে অভয়নগর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’

এদিকে ফরহাদ মজহারের উদ্ধারের খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তার স্ত্রী ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, ‘আমরা হ্যাপি। কিন্তু বাসায় না ফেরা পর্যন্ত উৎকণ্ঠা থাকবে।’

উল্লেখ্য, ৩ জুলাই সোমবার ভোররাতে মোহাম্মদপুর লিংক রোডের হক গার্ডেনের নিজ বাসা থেকে বের হন ফরহাদ মজহার। এরপর ভোর ৫টা ২৯ মিনিটে তিনি তার স্ত্রীকে ফোন করে জানান, ‘ফরিদা, ওরা আমাকে নিয়ে যাচ্ছে। ওরা আমাকে মেরে ফেলবে।’

ঢাকা জার্নাল, জুলাই ০৪, ২০১৭।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.