হজে যাওয়ার সুযোগ পাবেন এক লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন
ঢাকা জার্নাল: বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে হজ পালনের চুক্তির স্বাক্ষর হয়েছে। চুক্তি মতে এবার বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭৫৮ জন হজ পালনের সুযোগ পাবেন। গত বছরও একই সংখ্যক হজ প্রত্যাশীর বাংলাদেশ থেকে হজে যাওয়ার অনুমতি পেয়েছিল।
রোববার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী মতিউর রহমান ও সৌদি হজ মন্ত্রী ডা. বন্দর বিন মোহাম্মদ বিন হামজা হজ্জর (Dr. Bandar Bin Mohammed Bin Hamza Hajjar) নিজ নিজ দেশের সরকারের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বাংলানিউজকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন, দুই দেশের মন্ত্রী পর্যায়ে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এবার সরকারিভাবে হজে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ৫ হাজার হজ প্রত্যাশী এবং ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে হজে যেতে পারবেন ৯৬ হাজার ৭৫৮ জন।
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশি হাজীদের সংখ্যা, হজযাত্রীদের সহায়তাকারী (মাহরাম বা বাহক), নিবন্ধন ও হজ এজেন্সি এবং দেশে তীর্থযাত্রীদের পাঠানোর ক্ষেত্রে ব্যাংক হিসাব খোলা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সৌদি সরকার এ বছর একটি হজ এজেন্সির অধীনে ন্যূনতম ১৫০ হজ প্রত্যাশী পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। এর আগে প্রতিটি এজেন্সির জন্য ন্যূনতম ৫০ হজ প্রত্যাশীর বিধান ছিল।
চুক্তি অনুযায়ী ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সৌদি সরকার অনুমোদিত হজযাত্রীরেদর খাবার সরবরাহ, হজ এজেন্সির ব্যাংক হিসাব চালু, খাবারের ব্যয় পরিশোধ করবে। এই সব কার্যক্রম পরিচালিত হবে অনলাইনের মাধ্যমে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, হজযাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘব করতে একই ফ্লাইটে দু’টি এজেন্সির বেশি হজযাত্রী পরিবহন করা যাবে না।
মন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রতিনিধিদল হজ চুক্তি করে আসার পর প্রাক-নিবন্ধন কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে। আগামী ২৩ বা ২৪ ফেব্রুয়ারি এ কার্যক্রম শুরু হতে পারে।
আগামী ১২ সেপ্টেম্বর (৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে) হবে।
গত ১১ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে হজ প্যাকেজ অনুমোদন দেয় দেওয়া হয়। হজ প্যাকেজ-১ অনুযায়ী হজযাত্রীদের জন্য খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৬০ হাজার ২৮ টাকা। আর প্যাকেজ-২ এর খরচ নির্ধারণ করা হয়েছে তিন লাখ ৪ হাজার ৯০৩ টাকা।
ঢাকা জার্নাল, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৬