ঢাকাশীর্ষ সংবাদসংবাদ শিরোনামসারাদেশ

স্বেচ্ছায় লুণ্ঠিত অস্ত্র জমা দিলে থাকবে না আইনি ঝুঁকি: গাজীপুর জেলা প্রশাসক

গাজীপুর প্রতিনিধি

 

গাজীপুরের মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের বিভিন্ন থানায় বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় লুণ্ঠিত অস্ত্র স্বেচ্ছায় জমা দিলে কোনো ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম। তবে কোনো অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে এসব লুণ্ঠিত অস্ত্র উদ্ধার করা হলে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে ১৪ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্ট এর উদ্ধার করা লুণ্ঠিত অস্ত্র পুলিশের কাছে হস্তান্তর অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক এই ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, যারা এই অস্ত্রগুলো লুণ্ঠন করেছে, তারা যদি স্বেচ্ছায় এগুলো জমা দেয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে অভিযান চালিয়ে যদি কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, সেক্ষেত্রে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে।

উদ্ধার করা অস্ত্রের বিবরণ দিয়ে জেলা প্রশাসক আরও জানান, গাজীপুরের বিভিন্ন এলাকায় সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে তিনটি পিস্তল, পাঁচটি শর্টগান, একটি জি-২২ ওয়ালটার, ছয়টি পিস্তলের ম্যাগাজিন, চারটি পিস্তল বক্স, একটি এসএমজি ম্যাগাজিন, ১০৩টি এমো, ৮৩ রাউন্ড শর্টগান এমো, এবং ২০ রাউন্ড বল এমো উদ্ধার করেছে। এই অস্ত্রগুলো যথাযথ প্রক্রিয়ায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

প্রশাসনের আহ্বান, জনগণের নিরাপত্তা ও সুরক্ষার জন্য এই উদ্যোগকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক স্থানীয় জনগণকে আহ্বান জানান, যদি কেউ লুণ্ঠিত অস্ত্রের বিষয়ে কোনো তথ্য পান, তাহলে তা প্রশাসনের কাছে পৌঁছানোর জন্য। তিনি আরও জানান, অস্ত্র জমা দেওয়ার এই সুযোগ গ্রহণ করলে, তারা আইনি নিরাপত্তা পাবেন।”

অনুষ্ঠানে উপস্থিত সেনাবাহিনীর ১৪ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল লুৎফর রহমান, যিনি গাজীপুর মেট্রোপলিটন ও জেলা পুলিশের কাছে উদ্ধার করা অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর জেলা পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার ইলতুৎ মিশ, এবং জিএমপির সদর জোনের এসি ফাহিম আসজাদসহ সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।