Leadসংবাদ শিরোনামসব সংবাদ

সোয়া ১২ লাখ শিক্ষার্থীর লড়াই শুরু রোববার

HSCঢাকা জার্নাল : সোয়া ১২ লাখ শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে উচ্চ মাধ্যমিক এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হচ্ছে রোববার (০৩ এপ্রিল)। গত বছরের তুলনায় এবার এক লাখ ৪৪ হাজার ৭৪৪ জন বেশি শিক্ষার্থী অংশ নেবে পরীক্ষায়।

প্রথম দিন সকালে এইচএসসিতে বাংলা (আবশ্যিক) প্রথমপত্র, সহজ বাংলা প্রথমপত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথমপত্র, বাংলা (আবশ্যকি) প্রথমপত্র (ডিআইবিএস) এবং আলিমে কুরআন মাজিদের পরীক্ষা রয়েছে।

সকালে কারিগরিতে বাংলা-২ (১১২১) ও বিকেলে বাংলা-১ (১১১১) বিষয়ের পরীক্ষা হবে। সকালের পরীক্ষা ১০টা থেকে শুরু হয়ে চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। আর বিকেলের পরীক্ষা হবে ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত।

এবার থেকে এই পরীক্ষায় প্রথমে বহু নির্বাচনী (এমসিকিউ) ও পরে রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে থাকবে ১০ মিনিটের বিরতি।

শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ সকাল সাড়ে ৯টায় সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজ পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে যাবেন।

পরীক্ষা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী জানান, আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে এবার ১২ লাখ ১৮ হাজার ৬২৮ জন পরীক্ষার্থী এ পরীক্ষায় অংশ নেবে। গত বছর মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮৪ জন।

এবার মোট অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬ লাখ ৫৪ হাজার ১১৪ জন ও ছাত্রী ৫ লাখ ৬৪ হাজার ৫১৪ জন।

আটটি সাধারণ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এইচএসসিতে ১০ লাখ ২০ হাজার ১০৯ জন, মাদ্রাসা বোর্ডের অধীনে আলিমে ৯১ হাজার ৫৯১ জন, কারিগরি বোর্ডের অধীনে এক লাখ ২ হাজার ১৩২ জন ও ডিআইবিএসে (ডিপ্লোমা ইন বিজনেস স্টাডিজ) ৪ হাজার ৭৯৬ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

এ বছর ১৯টি বিষয়ের ৩৬টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ২০১২ সালে প্রথম শুধু বাংলা প্রথম পত্রের সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। গত বছর ১৩টি বিষয়ের ২৫টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছর নতুন ছয়টি বিষয়ের ১১টি পত্রে সৃজনশীল পদ্ধতিতে পরীক্ষা হবে।

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পলসি জনিত প্রতিবন্ধী ও যাদের হাত নেই এমন প্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থী শ্রুতিলেখক নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এ ধরনের পরীক্ষার্থী ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ২০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে।

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন (অটিস্টিক ও ডাউন সিনড্রোম বা সেরিব্রাল পলসি আক্রান্ত) পরীক্ষার্থীদের ৩০ মিনিট অতিরিক্ত সময় ও পরীক্ষার কক্ষে অভিভাবক বা শিক্ষক বা সাহায্যকারী নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থাকবে।

নকলমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা নিতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ওই দিন সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, কোনো শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রীদের নকল করতে সহযোগিতা করলে তার বিরুদ্ধে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রশ্ন ফাঁসসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য পাবলিক পরীক্ষা আইনে চার বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি আইনের শাস্তি সর্বোচ্চ ১৪ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা জরিমানা হতে পারে।

লিখিত পরীক্ষা ৯ জুন শেষ হবে। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ১১ জুন শুরু হয়ে শেষ হবে ২০ জুন।

এবার ৮ হাজার ৫৩৩টি প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষা ২ হাজার ৪৫২টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। বিদেশে সাতটি কেন্দ্রে ২৬২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন।

ঢাকা জার্নাল, এপ্রিল ০২, ২০১৬

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.