সোয়ান শ্রমিক আন্দোলন, আসছে ইসলামী ব্যাংক ঘেরাও কর্মসূচি
ঢাকা জার্নাল: ইসলামী ব্যাংক এবং কলকারখানা পরিদর্শকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি নিয়ে আসছে সোয়ান গার্মেন্ট শ্রমিকরা। সোমবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে লাগাতর অবস্থান কর্মসূচির অষ্টম দিন সোমবার সকালে তথ্য দেন বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন।
সকালে বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের ব্যানারে নবম দিনের আন্দোলন কর্মসূচি শুরু করেন শ্রমিকরা।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন- গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সভাপতি অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ, সাধারণ সম্পাদক কাজী রুহুল আমিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদারসহ শ্রমিক নেতৃবৃন্দ এবং সোয়ান গার্মন্টের বেতন-ভাতা বঞ্চিত শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের তিন মাসের বকেয়া বেতন ও ঈদবোনাসের দাবিতে প্রধান কলকারখানা পরির্দশকের কার্যালয় ঘেরাওসহ কঠোর কর্মসূচির ঘোষণারও ইঙ্গিত দেন গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের অন্য নেতারা।
গত ১২ জুলাই থেকে তিন মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদ বোনাসের দাবিতে সোয়ান গার্মেন্টসের শ্রমিকরা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
তাদের এই দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তাঁদের আন্দোলনে সামিল হয়েছেন ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রসহ বাম-প্রগতিশীল বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারাও। ঈদের আগে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচিতে উপস্থিত হয়ে অবিলম্বে তাঁদের বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানান।
বেতন-ভাতা ও বোনাসের দাবির সমর্থনে সকালে রাজধানীর পুরানা পল্টনের কমরেড মণি সিংহ সড়কের মুক্তি ভবন থেকে সোয়ান গার্মেন্টসের কিছু শ্রমিকসহ গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের একটি বিক্ষোভ মিছিল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানরত বেতন-বোনাসবঞ্চিত শ্রমিকদের সঙ্গে মিলিত হয়।
সমাবেশে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ বলেন, দাবি আদায়ে সরকার ও বিজিএমইএ-কে বাধ্য করতে মঙ্গলবার (২১ জুলাই) সকালে প্রধান কলকারখানা পরিদর্শকের কার্যালয় ঘেরাও এবং বৃহস্পতিবার ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ঘেরাও করা হবে। এছাড়া দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি চলবে। বিকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রাজপথে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে এই লাগাতর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে শ্রমিক নেতা মন্টু ঘোষ জানান।
সমাবেশে গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জলি তালুকদার বলেন, ১৩০০ শ্রমিকের বেতন-বোনাসের ব্যবস্থা না করা পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না। ঈদের আগ থেকে আমরা দাবি আদায়ে আন্দলন করে আসছি। সরকার বা বিজিএমইএ কেউ আমাদের কথায় কর্ণপাত করছে না। আমরা প্রয়োজনে আরো কঠোর কর্মসূচি দেবো। দাবি আদায় করেই ছাড়বো।
প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে সাবেক এই ছাত্র ইউনিয়ন নেত্রী বলেন, ১৩০০ শ্রমিকের বেতন বোনাসের ব্যবস্থা না করে আপনি কিভাবে ঈদ করেন?” এসব শ্রমিকের ন্যায্য দাবি আদায় না হলে পরণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জলি তালুকদার।
ঢাকা জার্নাল, জুলাই ২০, ২০১৫।