বিনোদন

সেন্সর বোর্ডে আটকাবে না ঢালিউডের আর কোনো সিনেমা

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক

১৯৬৩ সাল থেকে পুরনো আইন অনুসরণ করেই এত বছর চলছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। এই কারণে নানা নিয়মের বেঁড়াজালে প্রায় প্রতিবছর আটকে দেওয়া হতো একাধিক সিনেমা। এতে আর্থিকভাবে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন দেশের সিনেমা নির্মাতা, কারিগর, প্রযোজক ও পরিচালকরা। তবে এই সমস্যা সমাধানে এবার নেওয়া হলো নতুন পদক্ষেপ।

দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করা হচ্ছিল ‘সেন্সর বোর্ড’ বাতিল করার বিষয়টি। চলচ্চিত্রকর্মীরা একাধিকবার আন্দোলনও করেছেন এই দাবি আদায়ের জন্য। তবে ফল পাননি। এবার দাবিটি মেনে নিয়ে সেন্সর বোর্ড বাতিল করে গঠিত করা হয়েছে ‘চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড’।

এ সার্টিফিকেশন বোর্ডের নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোনো সিনেমাই এখন থেকে আর সেন্সর বোর্ডে আটকাবে না। এমনকি সেন্সর বোর্ড নামটিই আর থাকছে না। ফলে বিভিন্ন শর্ত ও নিয়মের মারপ্যাঁচে পড়তে হবে না নতুন আর কোনো সিনেমাকেই।

চলচ্চিত্রকর্মীরা আশা করছেন, নতুন জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে দীর্ঘ গত প্রায় ৬০ বছরের সেন্সর বোর্ডে সিনেমা ঝুলে থাকার শঙ্কাটির অবসান হবে ঢালিউড ইন্ডাস্ট্রিতে। এতে নতুন গল্প ও সিনেমা উপভোগ করতে পারবেন দেশের দর্শকরা।

‘সেন্সর বোর্ডের’ পুরনো ১৩ সদস্যসহ সর্বমোট ১৫ সদস্যের একটি নতুন কমিটি তৈরি করা হয়েছে বর্তমান ‘সার্টিফিকেশন’ বোর্ডে। সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, এ বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব।

তবে সেন্সর বোর্ড উঠে গেলে সিনেমার ধরণ ও ক্যাটাগরি কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এ প্রশ্ন অনেকের মনেই এসেছে। নতুন আইনের বিধিমালা অনুযায়ী, অন্যান্য দেশের মতো দর্শকের বয়স অনুযায়ী এবং গ্রেড ভিত্তিতে সিনেমা হলে সিনেমা প্রকাশিত হবে। সিনেমার শুরুতেই লেখা থাকবে যে সেটি কোন বয়সী দর্শকদের জন্য উপযোগী।