আন্তর্জাতিক

সূর্যের দিকে ছুটছে ভারতীয় মহাকাশযান

আরও একটি সাফল্যের পালক যুক্ত হলো ভারতের। সূর্যের চারপাশে ভ্রমণ ও গবেষণার জন্য মহাকাশ যান (আদিত্য-এল ১) পাঠালো দেশটি। এতে ঐতিহাসিক মাহেন্দ্রক্ষণের সাক্ষী হলো ভারতীয়রা।

ভারতীয় রকেট ‘পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল’ (পিএসএলভি)-এ চেপে স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের লঞ্চিং প্যাড থেকে সূর্যের উদ্দেশে ওড়াল দেয় এটি। ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে মহাকাশযানের উৎক্ষেপণের দৃশ্য উপভোগ করেন সাধারণ মানুষ। অনেকে সামাজিক মাধ্যমে মোদি সরকারের প্রশাংসা করে পোস্ট দিচ্ছেন।

ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ইসরো) জানিয়েছে, মহাকাশযানটিকে সূর্য ও পৃথিবীর মাঝের একটি ‘হ্যালো’ কক্ষপথের ল্যাগরেঞ্জ বা এল-১ পয়েন্টে স্থাপন করা হবে। ল্যাগ্রেঞ্জ পয়েন্ট হলো এমন এক জায়গা, যেখানে সূর্য ও পৃথিবীর আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে কাজ করে। ওই অঞ্চলে পৌঁছে মহাকাশযান স্থির থাকতে পারে।

প্রায় ১৫ লক্ষ কিলোমিটার ভ্রমণ শেষে গন্তব্যে পৌঁছাবে মহাকাশযানটি। সময় লাগবে কমপক্ষে ১২৫ দিন। সূর্যের বায়ুমণ্ডল সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহ ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণসব তথ্য বের করে আনতেই মহাকাশে পাঠানো হয়েছে আদিত্য-এল ১।

তাৎক্ষণিক বিবৃতিতে ইসরো’র প্রধান এস সোমানাথ অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, আদিত্য-এল১ মিশন সম্পন্ন।

গত ২৩ আগস্ট চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে সফলভাবে অবতরণ করে ভারতের চন্দ্রযান-৩ বিক্রম ল্যান্ডার। এর মধ্য দিয়ে ভারত প্রথমবার চাঁদে সফলভাবে নভোযান পাঠানোর মাধ্যমে ইতিহাস তৈরি করে। চাঁদে নভোযান পাঠানো চতুর্থ দেশ এখন ভারত। তবে দক্ষিণ মেরুতে অবতরণে প্রথম দেশ।

বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে সৌর অভিযানের রেকর্ড রয়েছে এশিয়ার আরেক দেশ জাপানের। দেশটির মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (জাক্সা) ১৯৮১ সালে হিনোটোরি নামের একটি নভোযান সূর্যের দিকে পাঠায়। এতে সৌর শিখা সম্পর্কিত তথ্যের পাশাপাশি অনেক অজানা বিষয় তুলে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে আরও ৪ বার সৌর অভিযানে যায় দেশটির মহাকাশযান। ১৯৯১ সালে যুক্তরাষ্ট্রও একই পথে হাটে। নাসাও সৌর অভিযান পরিচালনা করে পরবর্তীতে। সূত্র: এনডিটিভি, আল জাজিরা, আনন্দবাজার, বিবিসি