আন্তর্জাতিক

সুদানে ব্যস্ত বাজারে সেনাবাহিনীর বিমান হামলা, নিহত অন্তত ২৩

ঢাকা জার্নাল ডেস্ক:

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে ভয়াবহ হামলায় কমপক্ষে ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৪০ জনের বেশি। দেশটির রাজধানী খার্তুমের একটি বাজারে সেনাবাহিনী বিমান হামলা চালালে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।

রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজধানী খার্তুমের দক্ষিণে সুদানের সেনাবাহিনীর বিমান হামলায় অন্তত ২৩ জন নিহত ও আরও ৪০ জনেরও বেশি মানুষ আহত হয়েছেন। গত শনিবার চালানো এই বিমান হামলায় দক্ষিণ খার্তুমে আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর অধিকৃত প্রধান ঘাঁটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

এছাড়া সেখানকার কেন্দ্রীয় বাজার এবং কাছাকাছি একটি আবাসিক এলাকায়ও সেসময় বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে ব্যবসায়ী, ক্রেতা ও স্থানীয় বাসিন্দারা রয়েছেন।

গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে গৃহযুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে আফ্রিকার এই দেশটি। আরএসএফ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে টানা ১৮ মাসের এই লড়াইয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার পর্যন্ত মানুষ প্রাণ দিয়েছে এবং জাতিসংঘের ধারণা, এই সংঘাত সুদানের জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

নোবেল পুরস্কার-মনোনীত উদ্ধার নেটওয়ার্ক ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুম-এর একজন মুখপাত্রের মতে, হামলায় আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। জরুরী কর্মীরা রিপোর্ট করেছেন, হাসপাতালগুলো বিপুল সংখ্যক আহত মানুষে পূর্ণ।

বিবিসি বলছে, গত শুক্রবার থেকে খার্তুমের চারপাশে ভয়ানক লড়াই বেশ বেড়েছে। এই এলাকাটি মূলত আরএসএফের নিয়ন্ত্রিত। যার কারণে সেনাবাহিনী শহরের কেন্দ্রে এবং দক্ষিণের এলাকাগুলোতে বিমান হামলা জোরদার করেছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, সেনাবাহিনী নিকটবর্তী ওমদুরমান থেকে খার্তুমের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, যেখানে শনিবার সংঘর্ষ শুরু হয়।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে সুদান সরকার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে নতুন প্রমাণ উপস্থাপন করে বলেছে, সংযুক্ত আরব আমিরাত আরএসএফকে অস্ত্র দিচ্ছে এবং সমর্থন করছে। আর এই কারণে উপসাগরীয় রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে তারা।

অবশ্য সংযুক্ত আরব আমিরাত দীর্ঘদিন ধরে আরএসএফকে সমর্থন করার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।

অন্যদিকে আরএসএফ এবং সুদানী সশস্ত্র বাহিনী উভয়ের বিরুদ্ধেই নৃশংসতার অভিযোগ আনা হয়েছে। জাতিসংঘ গত মাসে সতর্ক করে বলেছিল, “দেশজুড়ে নিরলস এই সংঘাত লাখ লাখ বেসামরিক মানুষের জন্য দুর্দশা নিয়ে এসেছে এবং এটি বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান বাস্তুচ্যুতি সংকটের সৃষ্টি করেছে।”

এতে বলা হয়েছে, সুদানে এখন “বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্ষুধা সংকট” চলছে।