সালথায় স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা
ঢাকা জার্নাল: ফরিদপুরের সালথায় বেলায়েত হোসেন ওরফে দুলাল মোল্লা (৪৭) নামে এক স্কুলশিক্ষককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নের শিহিপুর গ্রামে নিজের বাড়িতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন দুলাল মোল্লা।
তিনি ওই গ্রামের মৃত মাহমুদ মোল্লার ছেলে। স্থানীয় জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারী এবং বিজ্ঞান বিষয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন দুলাল মোল্লা। ব্যক্তিজীবনে তিনি বিবাহিত এবং এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা ছিলেন।
তার ছেলে সাইফুল মোল্লা দাবি করেন, লিটন মোল্লা (২৫) নামে এক প্রতিবেশীসহ এলাকার কয়েকজন বখাটে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।
তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বাবা বাড়ি থেকে বের হয়ে সামনের রাস্তায় উঠছিলেন। কিন্তু রাস্তায় ওঠার আগেই লিটন মোল্লা ও তার আরও ৪-৫ জন সহযোগী অতর্কিত বাবার গলা, পিঠ ও পেটে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী ও পুলিশ বাবাকে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপতালের ওয়ার্ড মাস্টার অরিফ ইসলাম জানান, মারাত্মক আহত অবস্থায় দুলাল মোল্লাকে হাসপাতালে আনা হলে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আব্দুর রহমান তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
জয়ঝাপ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মিরাজ আলী বলেন, স্কুলে অফিস সহকারী কাম বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন দুলাল মোল্লা। তিনি ২০০৩ সাল থেকে এ স্কুলের সঙ্গে জড়িত। তার মেয়ে বুশরা সরকারি রাজেন্দ্র কলেজে সম্মান শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন। তার ছেলে সাইফুল এ বছর এসএসসি পরীক্ষা দিচ্ছে।
প্রধান শিক্ষক বলেন, নিরীহ ও সৎ মানুষ ছিলেন দুলাল মোল্লা।
এ বিষয়ে সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডিএম বেলায়েত হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত লিটনসহ তার সহযোগীদের আটকের জন্য অভিযান চালনো হচ্ছে।
ঢাকা জার্নাল, মার্চ ০৩, ২০১৬।