সাফাত ও সাদমানের হাতে নেই হাতকড়া
ঢাকা জার্নাল : নানীতে দুই তরুণীকে ধর্ষণ মামলার আসামি সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে গ্রেফতারের পর প্রকাশ করা ছবিতে তাদের হাতে হ্যান্ডকাফ ছিল না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় তৈরি হয়েছে। তাদের বিশেষ কোনও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে কিনা এ নিয়েও প্রশ্ন তৈরি হয়েছে।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে গ্রেফতার করা হয় সাফাত ও সাদমানকে। এ সময় রাতে পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তার ফেসবুকে পোস্ট করা ছবিতে দেখা গেছে তারা স্বাভাবিকভাবেই দাঁড়িয়ে আছে।
সাংবাদিক প্রবীর সিকদারের ছেলে সুপ্রীয় সিকদার তার ফেসবুক স্টেটাসে লিখেছেন, ‘জামাই আদরে থাকে সাদমান-সাফাতেরা! হাতকড়া লাগে না।’ আর প্রবীর সিকদারের হাতে হাতকড়া লাগে পাছে পালিয়ে যায়! ওরা ভিআইপি তাই পকেটে মোবাইল বা সিগারেটের প্যাকেট থাকে। আর প্রবীর সিকদারের কৃত্রিম পা খুলে চেক করে অবৈধ কিছু আছে নাকি !! সেলুকাস! বড়ই সেলুকাস !!’
সাংবাদিক সাগর লোহানী লিখেছেন, ‘মনে হচ্ছে এদের জামাই আদরের ব্যবস্থা সুসম্পন্ন! জ্বী, সে সম্ভাবনা প্রবল! দেখছেন না কোনও হাতকড়া নেই, দড়ি নেই, এমন কি বুকে ল্যাপটানো “কীর্তি ফলক”ও নেই! আশেপাশে কোনও পুলিশ কর্তাও বীরদর্পে দাঁড়িয়ে নেই!!!’
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শামীম সরদার বলেন, ‘কাউকে গ্রেফতার দেখাতে হলে হাতকড়া লাগাতে হবে। শুধু আদালতে গেলে তাদের হাত থেকে হাতকড়া খুলে দিতে হবে। এছাড়াও পুলিশ যদি মনে করে আসামিরা পালাবে না তাহলে হাতকড়া না লাগালেও চলে। তবে গ্রেফতারের সময় অবশ্যই হাতকড়া লাগাতে হবে, না হয় হাত চেপে ধরতে হবে।’
হাতকড়া না লাগানোর প্রসঙ্গে সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (মিডিয়া) জেদান আল মুসা বলেন, ‘যে ছবি দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলা হচ্ছে তাদের হাতে হাতকড়া নেই, সেটি অপারেশনাল ছবি নয়। এটা আমাদের কাছে ছিল বলে গণমাধ্যমকে দিয়েছি। যখন তাদের গ্রেফতার করা হয় তখন তাদের হাতে হাতকড়া লাগানো হয়েছে। আবার যখন আদালতে নেওয়া হবে তখনও তাদের হাতে হাতকড়া লাগানো হবে। কেবল আদালতের ভেতরে হাতকড়া খুলে দেওয়া যেতে পারে।’
ঢাকা জার্নাল, মে ১২, ২০১৬।