সাকিব-তামিমকে ছাপিয়ে নায়ক মোসাদ্দেক
ঢাকা জার্নাল: প্রায় এক দশক ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল।
অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই তাদের পথ চলা শুরু। এরপর জাতীয় দল। বিশ্ব দরবারে লাল-সবুজের পতাকা উড়িয়েছেন বেশ কয়েকবার। তাদেরই উত্তরসূরি বলা যায় মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে।
শনিবার (২৮ মে) বিকেএসপিতে সেই কথারই প্রমাণ করলেন সৈকত। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে লিগ কিংবা বয়সভিত্তিক দলকে ম্যাচ জিতিয়েছেন। কিন্তু শনিবারের ম্যাচটি চোখে লেগে থাকবে অনেক দিন। ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি প্রাইম দোলেশ্বর-আবাহনী।
বৃষ্টিতে ২৮ ওভারের ম্যাচে আবাহনীর টার্গেটে ১৯২। সেই লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে তামিম ১০, লিটন ১১ রানে আউট। তৃতীয় উইকেটে সাকিব-শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৭৪ রান। দুজনই হাফসেঞ্চুরির স্বাদ না নিয়ে বিদায় নেন। দলীয় ১১৯ রানে ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক। তখন জয়ের জন্যে প্রয়োজন ৫৪ বলে ৭৩ রান। ক্রিজে থাকা রজত ভাটিয়ার সঙ্গী মোসাদ্দেক। ভারতের রজত ভাটিয়াও মোসাদ্দেককে একা ছেড়ে দিলেন। কিন্তু পথভ্রষ্ট না হয়ে ডানহাতি মোসাদ্দেক ব্যাট চালাতে থাকলেন। এক রানের পাশাপাশি বাউন্ডারি ও ওভার বাউন্ডারি থেকে রান বের করে আনেন মোসাদ্দেক।
শেষ বল পর্যন্ত একবারও বিচলিত হননি। বরং আস্থা রেখেছেন নিজের প্রতিভার উপর। শেষ ৬ বলে ১১ রান প্রয়োজন ছিল আবাহনীর। ফরহাদ রেজার করা প্রথম ৩ বলে এল মাত্র ১ রান। শেষ ৩ বল খেললেন মোসাদ্দেক। প্রথম বলে পয়েন্টের উপর দিয়ে বল মেরে ২ রান। পরের বলে হাওয়ায় ভাসিয়ে ছয়। শেষ বলে প্রয়োজন ২ রান। ম্যাচের ভাগ্যে কি হচ্ছে তা বলা মুশকিল!
ফরহাদ রেজা সময় নিলেন। কি করবেন সেটাও চিন্তা করছিলেন। মোসাদ্দেক কথা বললেন তাসকিনের সঙ্গে। ২২ গজের ক্রিজে বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্যাট চালিয়ে ভোঁ দৌড় মোসাদ্দেকের! বল ততক্ষণে সীমানার বাইরে। ড্রেসিং রুম থেকে বের হয়ে দৌড়ে গেলেন তামিম, লিটন দাস, অভিষেক মিত্ররা। ৫৭ রানে অপরাজিত থেকে মোসাদ্দেক ম্যাচের নায়ক। তাকে কোলে তুলে নিতেও দ্বিধাবোধ করলেন না সতীর্থরা। ৩৫ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ইনিংসটি তারও মনে থাকবে অনেকদিন। এদিকে এ ইনিংসের মধ্য দিয়ে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে হাজার রান অতিক্রম করেন প্রতিভাবান মোসাদ্দেক।
ঢাকা জার্নাল, মে ২৮, ২০১৬।